সর্বশেষ:-
ভৈরব থানার উদ্ধারকৃত অস্ত্র পুলিশে হস্তান্তর করলেন সেনাবাহিনী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৯:৩১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
নয়ন মিয়া,ভৈরব(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
ভৈরবে ৫ আগস্টের সহিংসতায় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় হাজী আসমত কলেজ সেনাবাহিনী ক্যাম্প থেকে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলামের কাছে অস্ত্রসহ সকল মালামাল বুঝিয়ে দেন ভৈরব সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কর্ণেল ফারহানা আফরীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলা হকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ান আহমেদ রাফি, মেজর মো. সানজেদুল ইসলাম,ক্যাপ্টেন মো. রায়হান রেজা, রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম সিকদার, শহর ফাঁড়ি ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা যায়, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভৈরবের থানা কর্যালয়গুলো সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভঙচুর করে দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার পর থেকে ভৈরবের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সহযোগীতায় লুট হওয়া অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
মজর মো. সানজেদুল ইসলাম বলেন, ভৈরবের ছাত্ররা প্রশংসনীয় কাজ করেছে। শুরু থেকেই ভৈরবের সর্বস্তরের মানুষ ও ছাত্ররা তাদের নিজ উদ্যোগে ভৈরব থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগীতা করেছে। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে শর্টগান, মেশিন গান, চায়না রাইফের, পিস্তল, এলএমজি, গ্যাস গান, টিয়ার গ্য্যাস, রাবার বুলেটসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ। ইতিমধ্যে পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করছে। পৌর স্টেডিয়ামে অস্থায়ী কার্যালয়ে থানার কার্যক্রম চলছে। মূল থানার সংস্কার কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা অস্থায়ী কার্যালয় থেকে তাদের মূলথানায় ফিরে যাবে।
এ সময় থানায় হামলার বিভিষিকাময় পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে ভৈরব থানা অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে দুস্কৃতিকারীরা নাজমুল হাসান পৌর পার্কে আক্রমণ করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। থানার পাশে পার্কটি হওয়ায় থানা ভবনটি কালো ধুয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। পরে আমরা বুঝতে পারি আমাদের উপরও আক্রমণ হচ্ছে তখন আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে বের হই। পরবর্তীতে থানাতে ভাঙচুরসহ বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেই দুস্কৃতিকারীরা। এ সময় তারা অনেক কিছু লুট করে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনী ও ছাত্রদের সহযোগিতায় লুট হওয়া অনেক মালামাল উদ্ধার হয়েছে। আজ থেকে আমরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারবো। আমরা আন্দোলনের শুরুতেও জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি এখনও ভৈরবের সাধারণ মানুষের জানমালের রক্ষার্থে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাবো। এ সময় তিনি কাজের গতি ফিরাতে ভৈরবের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্ণেল ফারহানা আফরীন বলেন, দীর্ঘ ১২ দিন পর ভৈরব থানা পুলিশের কাছে তাদের অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ তাদের কাজে ফিরুক। ভৈরবে আইনশৃংখলার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক। পুলিশ তাদের কাজে ফিরলে আমরা আমাদের ব্যারাকে ফিরে যাবো।