ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ঈশ্বরদীতে ৫দিনব্যাপী  কালাচাঁদ ফকিরের মহাপবিত্র ওরস মোবারক  মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র-মাদকসহ ৬ যুবক আটক বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‍্যালিতে হিরার নেতৃত্বে নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান  শ্রীমঙ্গলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার-২ তফসিল ঘোষণা হলেই নির্বাচনী ইশতেহার: গোলাম পরওয়ার কুলাউড়ায় ডিএনসির অভিযানে ২ হাজার ইয়াবাসহ এক নারী আটক কুলাউড়ায় অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধার সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার শিকার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল  এ দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক সরকার চায়: আড়াইহাজারে আজাদ না’গঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবীতে রাসেল গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ মৌলভীবাজারে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত গাইবান্ধায় টার্মিনাল থেকে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস চুরি খুলনা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক উন্নতিকরণ সহ সংস্কারের আবেদন  দৌলতপুরে ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই: সন্ত্রাসী রাকিবুল গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় সোনালী ব্যাংক থেকে অভিনব কায়দায় গ্রাহকের টাকা চুরি  টেকনাফ কচ্চপিয়ার শীর্ষ মানব পাচারকারী রিদোয়ান আটক  ঈশ্বরদীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত মৌলভীবাজারে চোরাইপথে আসা ভারতীয় ঔষধসহ গ্রেপ্তার-২ বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার রিমান্ড মঞ্জুর   বড়লেখা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাদির গ্রেপ্তার  শেষ হলো ২ দিনব্যাপী ডেনিম এক্সপোর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভালুকায় বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর  কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে সিএনজির দুই যাত্রী নিহত,চালকসহ আহত-৫ মুন্সীগঞ্জে আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র গভ.গালর্স স্কুলের শিক্ষকরা মেতেছে কোচিং বাণিজ্যে টংঙ্গীবাড়ীতে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে লাখ মানুষ কুলাউড়ায় প্রশাসনের অভিযানে দখলমুক্ত ও হকারশুন্য ফুটপাত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প টেকনাফে ৫ কোটি টাকার আইস জব্দ করেছে কোষ্টগার্ড  ঈশ্বরদীতে কাজের সন্ধানে এসে দুই ‘পা’ হারালেন মুন্সিগঞ্জের যুবক মুক্তারপুর সেতুতে খানাখন্দে মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্ভাবনা মুন্সীগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন,লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক-২ ভালুকায় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতির বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার, থানায় জিডি ফের আরও ৩০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল  লাউয়াছড়া সীমানা চিহ্নিত করন বড় চ্যালেঞ্জ; বন দখলের আশঙ্কা! ফের পদে ফিরতে চান ১০ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে মধ্যবয়সী এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক আটক মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন  এনসিসি ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান  মৌলভীবাজারে দেখা মিলল আয়না ঘরের শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ লাউয়াছড়ায় দখল হওয়া ৪ একর জমি উদ্ধার সিদ্ধিরগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী আটক না’গঞ্জের ব্যস্ততম এলাকা ‘নয়ামাটি’ ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ সমবায় পুরস্কার পেলেন নলতার পরিবেশ ও কৃষি সমবায় সমিতি বড়লেখায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় সমবায় দিবস পালিত ডিজিটাল ভূমি জরিপে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হবে: ভূমি উপদেষ্টা ইয়ার্ন মার্চেন্টের সভাপতি একাধিক মামলার আসামী লিটন সাহা গ্রেপ্তার দায়িত্বে থাকা ৪০ কর্মকর্তাকে পদত্যাগে সময় বেঁধে দিয়েছে ইউসিবি  আয়কর রিটার্ন জমা রবিবার থেকে, কর অফিসে বিশেষ ব্যবস্থা বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়: মির্জা ফখরুল মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার  মুন্সীগঞ্জে পর্যাপ্ত আলু মজুত থাকলেও মূল্য অসাধু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে শ্রীমঙ্গলে ‘অন্নকুট উৎসব’ উদযাপন সাবেক কৃষিমন্ত্রী শহীদদের সম্পদের পাহাড় গুলশানে ‘রিজ্জ বাই সিডস এন্ড সিওন’স’ রেস্টুরেন্টের গ্রান্ড ওপেনিং রূপগঞ্জে মাদক-সন্ত্রাস-দখলবাজদের ঠেকাতে স্বেচ্ছাসেবকদলের সমাবেশ শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি  ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে সোনারগাঁয়ে সমাবেশ মুন্সীগঞ্জের পুরো শহরজুড়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে ভোগান্তি প্রবাসে থেকেও বোমা হামলার আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা দেবহাটায় বিক্ষুব্ধ জনতার গনপিটুনিতে ডাকাত সদস্য নিহত, আটক-৬ মুন্সীগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সাবেক এমপিসহ ১৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলাকাণ্ডে বিএনপি’ নেতা ফিরোজকে অব্যাহতি না ফেরার দেশে একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ: এক্সে ট্রাম্প  মৌলভীবাজারে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল র‍্যাবের জালে  দৌলতপুর সীমান্তে আটক বাংলাদেশী যুবককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত রূপগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: ৩ সন্তানের পর এবার বাবার মৃত্যু দেশে ৬ সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন নাজমুল হাসান পাপনসহ ১১ পরিচালকের পদ বাতিল করল বিসিবি মৌলভীবাজারে ডিবি পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল  ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সার্থে জমাকৃত বৈধ অস্ত্র ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত কুলাউড়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার-২ আ’লীগসহ একাধিক অঙ্গসংগঠনের পদধারী নাজিম আটক সিদ্ধিরগঞ্জে এম.ডব্লিউ কলেজের অধ্যক্ষের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব টেকনাফে বিজিবির অভিযানে দেশীয় অস্ত্র গোলাবারুদসহ ৩ ডাকাত আটক মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্ট আন্দোলনে গুলিতে ঝাঝড়া মঞ্জিলের খাদ্যনালী দুর্বৃত্তদের হামলায় পদ্মায় নিখোঁজ অপর এএসআই মুকুলের মরদেহ উদ্ধার ভালুকায় তুচ্ছ ঘটনায় ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ  ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ মতপ্রকাশে স্বাধীনতার সুযোগ থাকা উচিত: ম্যাথু মিলার সেনা মেজরের সঙ্গে অশালীন আচরণে গুলশানের এসি রানা ক্লোজ সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ঢাকায় গ্রেপ্তার  শ্রীমঙ্গলে মজুমদার নার্সিংয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ না’গঞ্জ প্রেসক্লাবে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক আবু সাউদসহ আহত-৫ ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল ঈশ্বরদী বাইপাস রেল স্টেশনের আদুরে  রাস্তা নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা  লগি বৈঠা ট্রাজেডি: হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বন্দরে জামায়াতের সমাবেশ কুষ্টিয়ায় একটি বাসে মিলল দেড় কোটি টাকার সাপের বিষ ভালুকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন বেশ কয়েকজন ডিএমপির ৭ যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারকে বদলি লগি বৈঠা তান্ডবে শহিদ ও আহতদের স্মরনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।