সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সম্মৃদ্ধ করেছেন অশোক রায় নন্দী
- আপডেট সময়- ০৭:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
এমতেয়াজ ফরহাদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, অশোক রায় নন্দী’র সান্নিধ্য আমাকে প্রাণিত করতো। শিল্প, সাংস্কৃতিতে যেখানে গিয়েছেন সবাই তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি খুব নিভৃতচারী ছিলেন। কাজটাকেই তিনি গুরুত্ব দিতেন সবসময়। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সম্মৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে কাজ করে গেছেন। মনে হয় যেন এই মুহুর্তে অশোক রায় নন্দী আমাদের সাথেই আছেন। সেই মানুষটিকে হারিয়ে আমাদের বিশেষ ভাবে কষ্ট কাজ করছে। কাজটাকে যদি সততার মাধ্যমে করা হয় তাহলে সে মানুষটিকের ভালোবাসার অভাব নেই।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থিয়েটার ফোরামের আয়োজনে প্রথিতযশা নাট্যযোদ্ধা, ঢাকা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত অশোক রায় নন্দী’র স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুল হক তালুকদার, থিয়েটার ঢাকা’র অন্যতম কর্ণধার নরেশ ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা।
এসময় পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত অশোক রায় নন্দী’র ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এছাড়াও আরো স্মৃতিচারণ করেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় ভৌমিক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব হারুন আল রশিদ প্রমূখ।
স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, অশোক রায় নন্দী’র স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারলে আমরা হয়তো আরেক একজন অশোক রায় নন্দীকে পাবো। সাংস্কৃতি অঙ্গনের বড় এক অধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন প্রচারবিমুখ লোক ছিলেন। তিনি পৃথিবীকে ভালোবেসে ছিলেন এবং নিজেও ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তিনি মানুষের মত বেঁচেছিলেন। তিনি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যান নি। আমরা যতদিন আছি তিনি আমাদের সাথেই থাকবেন। তিনি প্রচারবিমুখ মানুষ হলেও তাঁর কর্মকান্ডগুলো প্রচার করার দায়িত্ব ছিলো আমাদের কিন্তু আমরা তা করতে পারিনব। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের। তাঁর মৃত্যুর পর এদেশের শোকসভা হওয়ার আগে কলকাতায় শোকসভা হয়েছিলো। এমনটি হয়েছিলো তাঁরই কর্মের কারনেই। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ ছিলো। তাঁর আদর্শ ছিলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। তাঁর এই আদর্শকে আমাদের বয়ে নিযে যেতে হবে। তাঁর কর্মকান্ডগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।