ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
এবার ডিসি নিজে রক্ত দিয়ে ‘তারুণ্যে উৎসব’ সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন দেশবরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সুন্দরবনে ভ্রমণে এসে গোসলে নেমে পর্যটক নিখোঁজ ‘আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে না’ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে নাসিক প্রশাসক রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক গাইবান্ধায় জামায়াতের মহাসমাবেশ: সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনে লড়াই ঘোষণা মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার সাগরপথে মানবপাচার: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদসহ আটক-১ উত্তাল বাগেরহাট: ফের তিন দিনের হরতালসহ ৬ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিলেন তিতাস কর্তৃপক্ষ টেকনাফে বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর ‘ডগ জ্যাক’র সহায়তা ইয়াবা জব্দ শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীসহ ৪ জনকে কু*পি*য়ে আহত ঈশ্বরদীতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় রেলপথ-মহাসড়ক অবরোধ, চরমদুর্ভোগে ২৫ জেলার জনজীবন সাংবাদিককে নির্যাতনসহ হত্যা চেষ্টা: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানাকে বরখাস্ত এবারের শারদীয় দূর্গোৎসব হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সেতুবন্ধন: জেলা প্রশাসক উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ডাকসুতে ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিতেই ছাত্রশিবিরের নিরংকুশ জয় ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্রার্থীর নিরংকুশ বিজয় জুড়ীর বটুলী সীমান্ত শুল্ক স্টেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেরপুরে ৮৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই পালালেন সোনারগাঁ মহিলা আ’লীগ নেত্রী নূর জাহান ফতুল্লায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন ইউএনও রাজনগর ইউএনও’র যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের ৯৪ শতাংশই আত্মসাৎ  না’গঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যে কারনে পাম্পের ম্যানেজার ইকবালকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা যেভাবে খু*ন হলো তালিকাভুক্ত দূর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভান ফতুল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ইভন খুন টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিত্য পন্য সামগ্রীসহ ১০ পাচারকারী আটক উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ও অর্থসহ ২ নারী পাচারকারী আটক আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, রাতের আকাশে ঘটবে বিরল দৃশ্য, এবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর মৌলভীবাজারে ৩১৫ পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার-২ নারায়ণগঞ্জে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন টেকনাফে ২০৫ পিস ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাসিক ১২নং ওয়ার্ড কামান্ড কমিটি গঠন, আহ্বায়ক-মহাব্বত হাসেম মৌলভীবাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস মোবারক র‌্যালি সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৪ বনদস্যু আটক নারায়ণগঞ্জে অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই কাঁচা বাজারেও ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত রূপগঞ্জের ডন সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মহাসড়কে মানববন্ধন ‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’ ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনের ঘটনায় ৩৫’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জাপা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনার নিন্দা বিএনপির গাইবান্ধায় ফুফা সেজে বিশ্বাস ভঙ্গ, বাঁশঝাড়ে নির্মম সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-সংঘর্ষ- অগ্নিসংযোগে নিহত-১, আহত অর্ধশত এবার গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জাপা’র মহাসচিবের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-৮ ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ফরিদগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ নারায়ণগঞ্জে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের যোগদান গ্রেপ্তারের ১ দিনের মাথায় রূপগঞ্জ থেকে শুটার রিয়াজের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করলো র‍্যাব-১১ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনারগাঁয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৫ রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্ধার, আটক-১ পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা- মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজধানীতে সোহাগ পরিবহন অফিসে হামলা: কুপিয়ে জখম  জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ গ্রেপ্তার দেশের বাজারে আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম না’গঞ্জের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড না’গঞ্জের বৃহৎ দিগুবাবুর বাজারে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড ৮০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয় না’গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অর্থদন্ডসহ ১১১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ আলোচিত মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল না’গঞ্জে এনআর গার্মেন্টস’র ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পরে নারী শ্রমিকের আত্মহনন ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু থমথমে পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব পরীক্ষা স্থগিত ফের বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক টেকনাফে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-২ টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে সুন্দরবনের দ্বার খুলছে রায়পুরা সংসদীয় আসন রাখতে মহাসড়কে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর নারায়ণগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা অস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবক পুলিশের জালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিক পরিচয়ধারী দালাল গ্রেপ্তার না’গঞ্জে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সম্মুখ্যে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, দগ্ধ-৩

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।