ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে ফেলা হয়েছে এমপি আজিমের লাশের খন্ডিত অংশ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

নৃশংস এমপি আজিম হত্যাকান্ডের রহস্যের ধূম্রজাল খূলছে..!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতের কলকাতায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর লাশ টুকরো টুকরো করে কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙরের কৃষ্ণ মাটিতে ফেলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এমপি আজিমের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্যাব চালকের এমন স্বীকারোক্তির পর ওই স্থানে তল্লাশি শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদিন বাংলাদেশি জিহাদ হাওলাদার জিহাদ নামের ওই যুবককে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করে সিআইডি। জিহাদ ভারতের মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে, সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার দীঘলিয়া থানার বারাকপুরের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।

কিভাবে এমপি আজিমকে খুন করা হয়, জানালেন কসাই জিহাদ

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের ঘটনায় জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামে একজনকে আটক করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।

তদন্তকারীদের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীনের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে তলব করে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ আরও  চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহণ ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়।

সিআইডি সূত্র থেকে জানা গেছে, এমপি আনারকে খুনের সময় আরও চার বাংলাদেশি ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার জিহাদকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত কোর্টে হাজির করা হবে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করা হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের অফিসারসহ চার ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের আর কেউ এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতীয় পুলিশের চার সদস্য ঢাকায় এসে পৌঁছান। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস হয়ে তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে যান এবং সেখানে বৈঠক করেন। এরপর সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন। অন্যদিকে ঘটনাটি তদন্তে বাংলাদেশী গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও শিগগির কলকাতায় যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যেখানে ফেলা হয়েছে এমপি আজিমের লাশের খন্ডিত অংশ 

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

 

নৃশংস এমপি আজিম হত্যাকান্ডের রহস্যের ধূম্রজাল খূলছে..!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতের কলকাতায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর লাশ টুকরো টুকরো করে কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙরের কৃষ্ণ মাটিতে ফেলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এমপি আজিমের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্যাব চালকের এমন স্বীকারোক্তির পর ওই স্থানে তল্লাশি শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদিন বাংলাদেশি জিহাদ হাওলাদার জিহাদ নামের ওই যুবককে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করে সিআইডি। জিহাদ ভারতের মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে, সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার দীঘলিয়া থানার বারাকপুরের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।

কিভাবে এমপি আজিমকে খুন করা হয়, জানালেন কসাই জিহাদ

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের ঘটনায় জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামে একজনকে আটক করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।

তদন্তকারীদের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীনের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে তলব করে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ আরও  চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহণ ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়।

সিআইডি সূত্র থেকে জানা গেছে, এমপি আনারকে খুনের সময় আরও চার বাংলাদেশি ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার জিহাদকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত কোর্টে হাজির করা হবে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করা হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের অফিসারসহ চার ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের আর কেউ এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতীয় পুলিশের চার সদস্য ঢাকায় এসে পৌঁছান। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস হয়ে তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে যান এবং সেখানে বৈঠক করেন। এরপর সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন। অন্যদিকে ঘটনাটি তদন্তে বাংলাদেশী গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও শিগগির কলকাতায় যাবে।