সর্বশেষঃ
ঘুষের ৪২ লাখ টাকাসহ ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার কাওসার আটক
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৩:২৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নারায়ণগঞ্জ জেলা ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় দূর্নীতি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভুমি শাখায় দায়িত্বরত সার্ভেয়ার
ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সাথে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসের সার্ভেয়ার মো. কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত,এর আগে গত ১০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে কার্টনটিসহ এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে(ডিসি) অবহিত করা হলে তার নির্দেশে কার্টনসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দকৃত ওই কার্টন খুলে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এরপর টাকা গণনা শেষে জব্দ করা হয়। টাকার কার্টন জব্দের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
জব্দকৃত ৪২ লাখ টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দুদককে একটি চিঠি দেন।
এ ঘটনার বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, গত ১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আউটসোর্সিংয়ের সাবেক কর্মচারী মো. জাহিদুল ইসলাম সুমনের কাছে একটি কার্টন পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রিফাত হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কার্টনে নগদ টাকা থাকার কথা স্বীকার করেন।
দুদক সচিব জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দ তালিকা তৈরি করে দেখা যায়, কার্টনে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়, এতে এক হাজার টাকার ৩ হাজার ৭০০টি নোট এবং ৫০০ টাকার এক হাজারটি নোট পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে ওই টাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জব্দকৃত ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অর্থ এবং ধারণা করা হচ্ছে এ কার্যক্রমের সঙ্গে আরও অধিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর এ ঘটনায় গত ১৬ ডিসেম্বর দুদকের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার আমেদকে আসামি করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আসামি সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি জাহিদুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।