সর্বশেষঃ
ধর্ষন মামলায় মামুনূলের বিরুদ্ধে একদশ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ধর্ষণের মামলায় একাদশ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার হতে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনূলের উপস্থিতিতে ধর্ষণ মামলায় দু’জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী নুরুন্নবী জনি বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এই পর্যন্ত এ মামলায় সর্বোমোট ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন বিজ্ঞ আদালত। সাক্ষ্য গ্রহন শেষে এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৪ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।
বিজ্ঞ বিচারক নাজমূল হক শ্যামল ধর্ষণ মামলায় দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। উভয়ই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
হেফাজত নেতা মামুনুল হকের আইনজীবি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, মামলাটি একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সাজানো। একজন বিজ্ঞ ও স্বনামধন্য আলেমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এর আগে দশম দফায় মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে মো. আঃ রহমান আদালতে উপস্থিত হয়ে মায়ের সাথে মামুনুল হকের বিয়ের বৈধতা সম্পর্ক নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছে পুলিশ মামলার বাদীকে ঢাকায় একটি হোটেলে আটকে রেখে চাপে ফেলে এ মামলা দায়ের করতে বাধ্য করেছেন। এটি একটি সাজানো মিথ্যা বানোয়াট মামলা।
তিনি আরও বলেন, আমরা মামলার সাক্ষীদের জেরা করে তাদের কথার সাথে এ ধর্ষন মামলার কোন মিল খুঁজে পাইনি। তারা ঘটনার দিন পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সাথে তাদের আজকে কথার কোন মিল নেই, ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া রয়েল রিসোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেছেন তিনি রিসোর্টে অতিথিদের অভ্যর্থনায় নিয়ে যান। অথচ সেই সময় অভ্যর্থনা কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি। এতে করে প্রতিয়মান হয় যে এই মামলা ও মামলার সাক্ষী সব কিছুই সাজানো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এই মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলে আমরা মনে করছি।