ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর মামলায় জামিন পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা।।

 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধর, দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের মামলায় বিএনপি নেতা ও সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাত ২টায় সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর রাবার ড্যাম উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন, বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি (একাংশ) শফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী সৈনিক)। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ভাই এবং তাঁর লোকজন স্থানীয় আ’লীগ অফিসে ঢুকে ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করার অনুরোধ করেন। ফেইসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সুরমা ইউপি আ’লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাবারড্যাম প্রকল্পের অনিয়ম দুর্ণীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ও তার লোকজন মিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা অফিস এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। আমার বোনের উপরও তারা হামলা করে।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ তার বিরেুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারধর, অফিস ভাঙচুরের কোনো ঘটনা আমাদের কেউ ঘটায়নি। নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে এখন আমাদের ঘায়েল অপচেষ্টায় লিপ্ত। শফিকুল ইসলাম ২০১১ সালেও নিজেরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে অন্যদের ঘায়েল করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করায় আমি এর বিচার ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় রোববার মহব্বতপুর বাজারে চেয়ারম্যান পক্ষ এবং উপজেলা সদরে আ’লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে বরকত নগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিলেট কোতায়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন রশীদকে গ্রেপ্তার করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, মহব্বতপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর মামলায় জামিন পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা।।

 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধর, দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের মামলায় বিএনপি নেতা ও সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাত ২টায় সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর রাবার ড্যাম উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন, বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি (একাংশ) শফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী সৈনিক)। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ভাই এবং তাঁর লোকজন স্থানীয় আ’লীগ অফিসে ঢুকে ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করার অনুরোধ করেন। ফেইসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সুরমা ইউপি আ’লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাবারড্যাম প্রকল্পের অনিয়ম দুর্ণীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ও তার লোকজন মিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা অফিস এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। আমার বোনের উপরও তারা হামলা করে।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ তার বিরেুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারধর, অফিস ভাঙচুরের কোনো ঘটনা আমাদের কেউ ঘটায়নি। নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে এখন আমাদের ঘায়েল অপচেষ্টায় লিপ্ত। শফিকুল ইসলাম ২০১১ সালেও নিজেরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে অন্যদের ঘায়েল করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করায় আমি এর বিচার ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় রোববার মহব্বতপুর বাজারে চেয়ারম্যান পক্ষ এবং উপজেলা সদরে আ’লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে বরকত নগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিলেট কোতায়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন রশীদকে গ্রেপ্তার করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, মহব্বতপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।