ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২৩’র অডিশন সম্পন্ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদপুর প্রতিনিধি।।

 

দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় ফরিদপুরেও
বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ খি. অডিশন সম্পন্ন হয়েছে।
এতে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন মাদরাসার হাফেজ ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার সকালে ফরিদপুরের মারকাযুল আবরার মডেল মাদরাসায় শুরু হয়ে এ অডিশন চলে প্রায় বিকেল পর্যন্ত।

ফরিদপুরের বিভিন্ন মাদরাসার হাফেজে কুরআন শিক্ষার্থীগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিভাগীয় পর্যায় অংশগ্রণের জন্য তিনজনকে ক্রেস্ট পুরস্কার(ইয়েসকার্ড) বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা মো. সরোয়ার হুসাইন, হাফেজ মাওলানা মেসবাহউদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মো. ইয়াকুব হুসাইন, হাফেজ মুফতি বেলায়েত হুসাইন, হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ মাওলানা মো. আলম হোসেন, হাফেজ মাওলানা মো. আবুল খায়ের।

আরো উপস্থিত ছিলেন, মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা ফরিদপুর শাখার পরিচালক হাফেজ ক্বারী মো. বেলাল মাদানী, মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা ভাঙ্গা শাখার পরিচালক হাফেজ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞ ও সুদক্ষ বিচারকদের বিচারে প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায় অংশগ্রণের জন্য তিনজনকে ক্রেস্ট পুরস্কার (ইয়েসকার্ড) প্রদান করা হয়।

পুরষ্কার বিতরণ করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন সহ ফরিদপুর জেলা প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যগণ।

এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন, হাফেজ মুহাম্মাদুল্লাহ সায়াদ-জামিউল কুরআন মাদরাসা ফরিদপুর সদর ফরিদপুর, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন আব্দুল্লাহ আল সিফাত- শামসুল কুরআন মাদরাসা সদর ফরিদপুর, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মুহা. এমদাদুল্লাহ -মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা সদর, ফরিদপুর।

ফরিদপুর জেলায় অডিশন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বক্তব্য দেন হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন (এমএসএস)। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, যিনি পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছেন তিনি ঠেকছেন অর্থাৎ (আজিবন তাকে কুরআন- হাদিস অনুযায়ী চলা এবং ইয়াদ রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে) আর যিনি হাফেজ হয়নি তিনি ঠকেছেন।
তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ পবিত্র কুরআনে হাফেজ হতে পারে না। বিভাগীয় পর্যায় সুযোগ পাওয়া তিনজন হাফেজ শিক্ষার্থী সহ অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজে কুরআন দের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ- পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে যতো বড় বড় হাফেজ বা বিশ্বসেরা হাফেজ হয়েছে তাঁরা এই ভাবেই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই হয়েছে। প্রথমে কেউ কাউকে চিনে না। এভাবেই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই বড় হতে হয়, আন্তর্জাতিক, বিশ্বসেরা হাফেজ হতে হয়। আজকে যারা ফাস্ট, সেকেন্ট, থার্ড হয়েছে তাদেরকে আরো বেশি মাশক (চর্চা) করতে হবে। যাতে করে তারা যেনো জাতীয় পর্যায়ে থাকতে পারে, ফরিদপুর জেলার সুনাম ধরে রাখতে পারে।
হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটি, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজে কুরআন, মাদরাসার ওস্তাদ সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফরিদপুরে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২৩’র অডিশন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদপুর প্রতিনিধি।।

 

দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় ফরিদপুরেও
বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ খি. অডিশন সম্পন্ন হয়েছে।
এতে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন মাদরাসার হাফেজ ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার সকালে ফরিদপুরের মারকাযুল আবরার মডেল মাদরাসায় শুরু হয়ে এ অডিশন চলে প্রায় বিকেল পর্যন্ত।

ফরিদপুরের বিভিন্ন মাদরাসার হাফেজে কুরআন শিক্ষার্থীগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিভাগীয় পর্যায় অংশগ্রণের জন্য তিনজনকে ক্রেস্ট পুরস্কার(ইয়েসকার্ড) বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা মো. সরোয়ার হুসাইন, হাফেজ মাওলানা মেসবাহউদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মো. ইয়াকুব হুসাইন, হাফেজ মুফতি বেলায়েত হুসাইন, হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ মাওলানা মো. আলম হোসেন, হাফেজ মাওলানা মো. আবুল খায়ের।

আরো উপস্থিত ছিলেন, মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা ফরিদপুর শাখার পরিচালক হাফেজ ক্বারী মো. বেলাল মাদানী, মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা ভাঙ্গা শাখার পরিচালক হাফেজ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞ ও সুদক্ষ বিচারকদের বিচারে প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায় অংশগ্রণের জন্য তিনজনকে ক্রেস্ট পুরস্কার (ইয়েসকার্ড) প্রদান করা হয়।

পুরষ্কার বিতরণ করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন সহ ফরিদপুর জেলা প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যগণ।

এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন, হাফেজ মুহাম্মাদুল্লাহ সায়াদ-জামিউল কুরআন মাদরাসা ফরিদপুর সদর ফরিদপুর, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন আব্দুল্লাহ আল সিফাত- শামসুল কুরআন মাদরাসা সদর ফরিদপুর, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মুহা. এমদাদুল্লাহ -মারকাজুন নূর ক্যাডেট মাদরাসা সদর, ফরিদপুর।

ফরিদপুর জেলায় অডিশন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বক্তব্য দেন হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন (এমএসএস)। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, যিনি পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছেন তিনি ঠেকছেন অর্থাৎ (আজিবন তাকে কুরআন- হাদিস অনুযায়ী চলা এবং ইয়াদ রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে) আর যিনি হাফেজ হয়নি তিনি ঠকেছেন।
তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ পবিত্র কুরআনে হাফেজ হতে পারে না। বিভাগীয় পর্যায় সুযোগ পাওয়া তিনজন হাফেজ শিক্ষার্থী সহ অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজে কুরআন দের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ- পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে যতো বড় বড় হাফেজ বা বিশ্বসেরা হাফেজ হয়েছে তাঁরা এই ভাবেই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই হয়েছে। প্রথমে কেউ কাউকে চিনে না। এভাবেই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই বড় হতে হয়, আন্তর্জাতিক, বিশ্বসেরা হাফেজ হতে হয়। আজকে যারা ফাস্ট, সেকেন্ট, থার্ড হয়েছে তাদেরকে আরো বেশি মাশক (চর্চা) করতে হবে। যাতে করে তারা যেনো জাতীয় পর্যায়ে থাকতে পারে, ফরিদপুর জেলার সুনাম ধরে রাখতে পারে।
হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটি, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজে কুরআন, মাদরাসার ওস্তাদ সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।