এবারও বাজেটে কিছুই পেল না সংবাদপত্র শিল্প
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক।।
এবারও বাজেট থেকে কিছু পেল না সংবাদপত্র শিল্প। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা নেই। কর্পোরেট কর কিংবা নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্ক কমানো, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ এ শিল্পের নানা দাবি থাকলেও অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় এ শিল্পের জন্য কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) কর্পোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি সংবাদপত্র শিল্প বাঁচানোর জন্য কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেছিল। নিউজপ্রিন্টে বর্তমানে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হয়, এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট), ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) রয়েছে। এতে বীমা, ব্যাংক, পরিবহন ব্যয়সহ প্রকৃত ব্যয় (ল্যান্ডেড) দাঁড়াচ্ছে নিউজ প্রিন্টের দামের ওপর ৩০ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে সংবাদপত্র শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতিতে এই শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল কয়েকবার।
এ ছাড়াও সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে আয়কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ।
নোয়াব বলছে, অধিকাংশ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। তাই সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস কমিয়ে ২ শতাংশ এবং কাঁচামালের ওপর উৎসে কর শূন্য শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিলো নোয়াব। কিন্তু এবারের বাজেটে কোনো দাবিই বিবেচনায় রাখা হয়নি।
নোয়াব আরো জানিয়েছে, বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মাধ্যমের যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন ও প্রচারসংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যাওয়ায় বিজ্ঞাপনের আয় দিয়ে উৎপাদন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা একেবারে সম্ভব হচ্ছে না। দেড় বছর আগেও প্রতি টন বিদেশি নিউজ প্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার এখন তা বেড়ে ৭০০ ডলারের বেশি দাড়িয়েছে। মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৮৫ টাকা, যা এখন ১১৫ টাকায় উঠেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংবাদপত্রকে ভয়ংকর সংকটের মুখে ফেলেছে। তারপরও এ শিল্পকে সরকারি প্রণোদনার বাইরে কেনো রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পত্রিকার মালিকগন।