সর্বশেষ:-
দেশে পৌঁছেছে কিংবদন্তি নায়ক ফারুকের মরদেহ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
সমকালীন কাগজ রিপোর্ট।।
ঢাকাইয়া বাংলা চলচিত্রের জনপ্রিয় একটি নাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে তার মরদেহ দেশে আসে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
নায়ক ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম তুলসী জানান, ‘সবকিছু ঠিকঠাক মত থাকলে বাবার মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে।
তবে জানাজার বিষয়ে এখনও কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। বাবার দাফন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানান তিনি।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ জানান, ফারুক ভাইয়ের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে,পরে মরদেহ এফডিসিতে আনা হবে। বাদ জোহর এখানে জানাজা শেষে গুলশান আজাদ মসজিদে নিয়ে দিতীয় জানাজা হবে। এরপর তার নিজ জন্মস্থান গাজীপুরের কালীগঞ্জে জানাজা শেষে দাফন করার কথা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলা চলচ্চিত্রের এ কিংবদন্তি নায়ক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
গত দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান তিনি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও ছিলো তার।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এ কিংবদন্তি ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কবরী।
এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।এরপর তাকে আর পিছিনে ফিরে দেখতে হয়নি।একে একে অনেক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করতে থাকেন।
নায়ক ফারুক পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবেই খ্যাতি পেয়ে যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।