ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুনে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

জুনে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে।আগেই পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানো হয়েছে। এখন পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ এসকল তথ্য জানিয়েছে,জানিয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে।
গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক সফল ট্রেন চালানো হয়।
জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু।
ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো ধরনের জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগনালিং সিস্টেম চালু জন্য রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার কেবল লাইন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, গুণগত মান-সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিক রেখে দূর্বার গতিতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের যাতে করে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
প্রকল্প সূত্রে তথ্যমতে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জুনে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন

আপডেট সময় : ০৪:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

জুনে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে।আগেই পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানো হয়েছে। এখন পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ এসকল তথ্য জানিয়েছে,জানিয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে।
গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক সফল ট্রেন চালানো হয়।
জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু।
ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো ধরনের জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগনালিং সিস্টেম চালু জন্য রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার কেবল লাইন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, গুণগত মান-সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিক রেখে দূর্বার গতিতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের যাতে করে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
প্রকল্প সূত্রে তথ্যমতে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছেন।