ইম্যু চক্রের ফাদেঁ সর্বশান্ত প্রবাসীরা!
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ১২:২৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ ৬০ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তানিয়া আক্তার,সৌদি আরব প্রতিনিধি।।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ইমু অ্যাপস প্রবাসীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।অতি সহজেই ভিডিও কলে সবার সাথে কথোকপথন হয়।
আর এজনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে কষ্টার্জিত অর্থ সহ সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক বিরাট অংশ।
এমনই এক ভয়ঙ্কর ইমু চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন,
সৌদি প্রবাসী মো: রাসেল।
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট সহজতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিবার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করতে প্রবাসীরা ব্যবহার করেন এই ইমু সহ একাধিক অ্যাপস।
সেই ইমুতে লাইভ করে প্রবাসে থাকা এমনি একটি কুচুক্রি মহল প্রবাসীদেরকে টার্গেট করে সর্বশান্ত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।
এ চক্রটি সাধারণ প্রবাসীদের প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছে এই দলের মধ্যে অন্যতম দুই সক্রিয় সদস্য হচ্ছে, শবনম আক্তার রিয়া,(ওরফে দুষ্টু মেয়ে) হাসি, কবিতা, অভিমানী মেয়ে, শাবনাম,রাজকুমারী, রিহান, এ চক্রটি একাধিক নাম ব্যবহার করে ইমু একাউন্ট খুলে নিরীহ প্রবাসী মো: রাসেল সহ হাজারো প্রবাসীদের ব্ল্যাকমেইলিং করে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই।
জানা গেছে,এই ভয়ংকর চক্রের মূল হোতা শবনম আক্তার রিয়া সহ চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে যে সহযোগীতা করে থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম লিটন গাজী।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, এ চক্রের পুরুষ সদস্য লিটন গাজীর রয়েছে একাধিক স্ত্রী, মূলত তার স্ত্রীদেরকে দিয়ে প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল জগতে নানান ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ইমু ভিডিও কলের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করার মাধ্যমে প্রতারণাসহ ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। ভয়ংকর ইম্যু চক্রের অন্যতম হোতা মারী সদস্য শবনম আক্তার রিয়া।
এছাড়াও আরো সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এই চক্রের সংক্রিয় সদস্য লিটনের অন্যতম সহযোগী ইমরান সাংবাদিক। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে খবর ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে এই ইমরান।
মেয়েদেরকে দিয়ে এই ইমরান ও তার সহযোগী লিটন গাজী সহ বিশাল এক ইমু চক্র রয়েছে তাদের। প্রবাসীদের ইমু গ্রুপে এড করে প্রলোভন দেখিয়ে অন্তরঙ্গ স্ক্রিনশট ধারণ করে ইমরানের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
আর এই ইমরান বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিবে বলে প্রবাসীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। যেমনটি করেছেন ভুয়া ফেসবুক আইডি ভূয়া নাম ব্যবহার করে। রাসেলের ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে মোঃ রাসেলের নামে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে এই ইমরান ৭ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আগে পরে বলেন চার লক্ষ টাকা দিতে হবে। এবং কি বিভিন্ন নামে বেনামে পত্রিকা ছবি লাগিয়ে স্ক্রিনশট প্রবাসীদের মোবাইলে পাঠিয়ে বলেন তোমাকে খবরের শিরোনাম করা হয়েছে, টাকা দাও না হলে তোমার নামে এরকম আরো অনেক নিউজ হবে। পরে তাদের সহযোগীর মাধ্যমে ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করে থাকেন।
এমতাবস্থায় প্রবাসী ভোক্তভোগীরা সরকারের সাহায্য চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রবাসীদের যেহেতু রেমিটেন্স যোদ্ধা
তাই প্রবাসীরা এ ধরনের ভয়ংকর ইমু গ্রুপসহ যাবতীয় অন্যান্য গ্রুপগুলো থেকে ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছে প্রতিনিয়ত।
প্রবাসীরা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সাধারণ প্রবাসীদের আর কোন রাসেল যেন এই ধরনের ইম্যু চক্রের কাছে সর্বস্বান্ত না হয়।
জানা গেছে, প্রবাসে বসবাস করা বেশির ভাগ প্রবাসীই থাকে সাদাসিধে,আর এই কুচক্রের সদস্যেরা তাদেরকেই টার্গেট করে থাকেন৷ এই সাধারণ প্রবাসী তাদের সম্মান বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও এর থেকে রেহাই পায় না৷ এখন প্রতিনিয়ত এ সকল চক্রের সদস্য সংখ্যা বেড়েই চলছে৷
ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী রাসেল প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা প্রবাসে আছেন অপরিচিত কোন মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন৷ এসকল কর্মকান্ড থেকে প্রতিকার চায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি।