
এতো কিছু সত্বেও মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও দলকে ভালোবেসে সোমবার বিকেলে এক কর্মীসভায় অনুসারী নেতা-কর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এক সময় নারায়ণগঞ্জে যুবদলের সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা মাসুদুজ্জামান নিজস্ব ব্যবসায় মনোনিবেশ করলে রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ বছর প্রত্যক্ষ সক্রিয় না থাকলেও পরোক্ষ ভাবে সক্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি সমাজসেবা, ক্রীড়া ও শিক্ষাখাতেও তিনি বরাবর অবদান রেখে গেছেন জনসাধারণের জন্য।সবসময় রাজনীতির মাঠে না থাকলেও নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যবসায়ী অঙ্গণেও নেতৃত্ব দিয়েছেন মাসুদুজ্জামান। হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।
বিএনপির জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্খা পোষন করেন।
কিন্তু শুরু থেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা বরাবরই তার বিরোধীতা করতে থাকেন। যদিও মাসুদুজ্জামান মাসুদের ঐক্যের আহ্বানের পরে অনেকেই তার বলয়ে ভিড়তে শুরু করেন। এ-র পরবর্তী গত সেপ্টেম্বরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। এবং ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামানকে মনোনীত করে ঘোষণাও করা হয়।
এ আসনটিতে মাসুদুজ্জামানকে মনোনীত করলেও দলের মনোনয়ন-বঞ্চিতরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচারণা অব্যাহত রাখেন। কেউবা শুরুতে বিরোধীতা করলেও দলীয় স্বার্থে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করা শুরু করেন।
কিন্তু মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, বর্তমান আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও বিএনপিন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল ঘোর বিরোধীতা বজায় রাখেন। এমনকি তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিলেরও জোর দাবি জানান।
এরই মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর হঠাৎই জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তাজনিত কারণের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান। এ ঘোষনায় সকল নেতা- কর্মী সমর্থকরা হতভম্ব হয়ে যায়। যদিও এর ৩ দিন পর স্থানীয় জনসাধারণ ও নেতা-কর্মীদের অনুরোধে ফের নির্বাচনী মাঠে ফেরেন তিনি। কিন্তু সুযোগে সাখাওয়াত ও আবুল কালাম কেন্দ্রে যোগাযোগ শক্ত করে ফেলেন।
এদিকে, মাসুদুজ্জামানের নির্বাচনী মাঠে ফেরার ঘোষণা দেবার পরদিনই এড. সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেন, তাকে দল আসনটিতে মনোনীত করেছেন বলে স্পষ্ট ঘোষণা করেন। ফলে এ আসনটি নিয়ে নাটকীয় মোড়ে পরিনত হয়। এরপর ফের গত ২৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন ফরমের একটি চিঠি দেখিয়ে এড. কালামও একই দাবি করেন। এবং পুরো ফেসবুকে চাউর হয় কালাম চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন।
এর ফলে, এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রকৃত প্রার্থী কে তা নিয়ে যখন নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সংশয় ও ধোঁয়াশা বাড়তে থাকে। একে একে সবাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন, কিন্তু শেষ দিনে কালামের পাশাপাশি সাখাওয়াত ও ব্যবসায়ী বাবুল মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের কান্ডারী মাসুদুজ্জামান মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এ-র ফলে বিএনপির প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ালে এই ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
✪ Chief Adviser, Prabir Kumar Saha, ✪ Chief Advisor, Masuduzzaman Masud ✪ Adviser- Mohammad Kamrul Islam, ✪Editor & publisher- Mohammad Islam.☞Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212, Corporate office:-B.B Road ,Chasara,Narayanganj-1400,✆-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126.web: www.samakalinkagoj.com, News-samakalinkagoj@gmail.com,✆+8801754-605090(Editor) সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত,®রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭, All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।
Copyright © 2025 Daily Samakalin Kagoj. All rights reserved.