নিজস্ব প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত লোহা ও লোহাজাতীয় বস্তু সুবিধাজনক দামে ক্রয় করতে না পারার জের ধরে বিদ্যালয় ভাঙচুর এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় যুবদল নেতা কাউছার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আল আমিন শাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া, সোনারগাঁ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মোল্লা, সাদীপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আওলাদ হোসেন, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মাসুম মোল্লা এবং ইউনিয়ন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আকলিমা বেগম। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আনোয়ার হোসেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত কাউছার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। এলাকায় সে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তার ও তার বাহিনীর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট বিদ্যালয়ে হামলা ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
গত ৮ নভেম্বর বিদ্যালয়ের অকেজো বেঞ্চের লোহা ও লোহাজাতীয় বস্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়মে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রি করলে স্থানীয় যুবদল নেতা কাউছার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এতে বাধা দেয়। এরপর তারা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে গেট ও জানালা ভাঙচুর করে। একইসঙ্গে তারা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ওপর আক্রমণের উদ্দেশ্যে গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার পর সোনারগাঁও থানার পুলিশের সহায়তায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন। পুলিশের গাড়ির শব্দ শুনে কাউছার ও তার দলবল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
✪ Chief Adviser, Prabir Kumar Saha, ✪ Chief Advisor, Masuduzzaman Masud ✪ Adviser- Mohammad Kamrul Islam, ✪Editor & publisher- Mohammad Islam.☞Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212, Corporate office:-B.B Road ,Chasara,Narayanganj-1400,✆-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126.web: www.samakalinkagoj.com, News-samakalinkagoj@gmail.com,✆+8801754-605090(Editor) সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত,®রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭, All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।
Copyright © 2025 Samakalin Kagoj. All rights reserved.