কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটা, মাড়াই আর পরিবহনে ব্যস্ত সবাই। শুরু হয়েছে অগ্রহায়ণ মাস। এ মাসে দেশের দিগন্তজোড়া মাঠের কাঁচা-পাকা ধানের সঙ্গে দৃঢ় হয় কৃষক-কৃষাণীর হৃদয়ের বন্ধন। মাঠের পর মাঠের পাকা সোনালী ধানের চেহারা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে কৃষক পরিবার। একইসঙ্গে ধানের সোনালী শীষ দেখে আগামীর স্বপ্ন বুনে কৃষক-কৃষাণী । পাকা ধানের গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে কৃষকের আঙিনা। এই পাকা ধানের সুভাস ছড়িয়ে আছে কুষ্টিয়াজুড়েও। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে পাকা ধান কাটার উৎসব।
আমন ধান রোপণের পর থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত কৃষি শ্রমিকদের হাতে কোনো কাজ থাকত না। এই সময়টাতে অনেকে কাজের সন্ধানে চলে যেত ভিন্ন জেলায়। কিন্তু দিন বদলে গেছে। এখন আর লোকজনদের আর কাজের সন্ধানে খুব বেশি একটা জেলার বাইরে যেতে হয় না। আগাম জাতের ধান চাষ এবং সেই জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের কারণে কৃষি শ্রমিকদের কাজ লেগেই থাকে।
কয়েকদিন আগেও অলস সময় কাটানো কৃষক পরিবারে এখন দম ফেলার সময়টুকুও পাচ্ছেন না। একদিকে ধানের কাজ, অন্যদিকে নতুন ধানের নতুন চাল, নতুন খাবার তৈরি করতে হয় নিজের ও আত্মীয়দের জন্য। সর্বোপরি যারা কষ্ট করে ধান ফলায়, সেই কৃষকের জন্য হলেও নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতে হয়। কৃষকরা বলছেন, এ বছর মাঠের খরচ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে পোকামাকড়ের আক্রমণ, রোগবালাই প্রতিরোধ ও সার-বালাইনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো না পেলে অতিরিক্ত ব্যয় আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ কেড়ে নেবে।
মিরপুর উপজেলার নিমতলা এলাকার কৃষক জামিরুল ইসলাম জানান, তার রোপা আমন আবাদে এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চিথলিয়া এলাকার কৃষক মমিন বলেন, এবার ধান ভালো হয়েছে। আশা করছি এবার কিছু সঞ্চয় করতে পারব।
প্রতি বছরের মতো এবারো নবান্ন উৎসব এসেছে একটু ভিন্নতা নিয়ে। প্রকৃতিতে কেবল শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই নবান্ন উৎসব নিয়ে গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা মিলছে না। যত প্রতিকূল অবস্থা হোক না কেন প্রতি বছরের মতো এবারো নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষাণ-কৃষাণী।
নতুন ধান থেকে চাল। আর সেই চালের গুঁড়োয় বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি বানানো এবং খাওয়ার ধুম পড়েছে কয়েকদিন থেকেই। কুয়াশায় আচ্ছন্ন শীতের মিষ্টি রোদের সকালে শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে এরই মধ্যে ভাপা, চিতই পিঠা নিয়ে বসেছে মৌসুমি বিক্রেতারা।
এদিকে ফলন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অতিরিক্ত সার ও রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে না পারলে খরচ বাড়বে এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জৈব সার ও জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া জানান, কৃষক যেন সহজে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে বাজারে কৃষকবান্ধব মূল্য নির্ধারণ করা গেলে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা।
✪ Chief Adviser, Prabir Kumar Saha, ✪ Chief Advisor, Masuduzzaman Masud ✪ Adviser- Mohammad Kamrul Islam, ✪Editor & publisher- Mohammad Islam.☞Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212, Corporate office:-B.B Road ,Chasara,Narayanganj-1400,✆-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126.web: www.samakalinkagoj.com, News-samakalinkagoj@gmail.com,✆+8801754-605090(Editor) সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত,®রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭, All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।
Copyright © 2025 Samakalin Kagoj. All rights reserved.