তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গুহ রোড়ের পাশের ফুটপাতের কাজে অনিয়ম জানতে পেরে ফেসবুক লাইভে আসেন এক সাংবাদিক। সেখানে সেই সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে লাঞ্চিত করেছেন এক ঠিকাদার। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। তখন কতৃপক্ষ চলমান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু চমকপ্রদ বিষয় প্রায় ৬ টার দিকে ঠিকাদার যেসব স্থানে সিমেন্ট এর বদলে বালি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠে ঐসব স্থানে লোক চোখের আড়ালে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এতে করে আনিত অভিযোগ অনিয়ম গুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে এবং সাংবাদিকদের ওপর অভিযোগের তীর ছুঁড়তে পারে কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। সে সুযোগ নিতে ও ব্যর্থ হয় ঠিকাদার ! এতে করে কি অসংগতি আর অনিয়ম ঢেকে রাখা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড এর একটি ভিডিওতে দেখা যায় শহরের গুহরোডে রাস্তার পাশের ফুটপাতের উপর পুরাতন টাইলস ভেঙ্গে নতুন টাইলস লাগানোর কাজ চলছিলো। এসময় দুপুরে সেখানে যান এসকে দাশ সুমন। সেখানে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভে এসে টাইলস বসানোর মসলা (সিমেন্ট ও বালু) হাতে নিয়ে দেখান যে বালুর পরিমান বেশী, সিমেন্ট কম। এসময় অই কাজের ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে এসকে দাশ সুমনকে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করতে দেখা যায়। পরে আরোও সাংবাদিকদের বিভিন্ন রকম বাজে ভাষার প্রয়োগ করেন এবং হুমকি ধামকি দেন। একপর্যায়ে দুইজনের ভিতর বাকবিতন্ডার পর্যায়ে ঠিকাদার সেখান থেকে চলে যান। আরেক ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ তিনি কিছু সময়ের মধ্যে এসে উপস্থিত হয় এবং তার ও মারমুখী আচরণ প্রয়োগ করা শুরু করেন।
এসময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন বলেন, এখানে আগের টাইলসই ভালো ছিলো। সেগুলো ভেঙে নতুন করে এভাবে নিম্ন মানের কাজ করা হচ্ছে। বালুর পরিমানই বেশী দিচ্ছে তারা। এগুলো কেউ দেখছে না।
এসকে দাশ সুমন বলেন, আমাকে সকাল থেকেই অনেক লোকজন ফোন করে বলছেন কাজে অনিয়ম হচ্ছে। তো আমি সেখানে গিয়ে প্রমান রাখার জন্য ফেসবুকে লাইভ করছিলাম। হঠাৎ করেই ঠিকাদার এখানে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। অন্যান্য সাংবাদিকদেরও গালাগাল দিতে থাকে। আমি ভালো করে এখানে দেখেছি, এখানে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু কাজ বন্ধ হবার পর সন্ধ্যর দিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬টার দিকে আবার ও শ্রমিক দিয়ে অসংগতি স্থান গুলো রিপেয়ার করছে তাও ক্যামেরায় বন্দী হয়েছে। সত্য সব সময় সত্য বলে গণ্য হবে।
এই বিষয়ে গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন।
এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে এবং তদন্ত স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষতার সহিত হবে বলে আশ্বস্ত করেন। এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
◑ Chief Adviser ☞ ◑ Adviser☞ Mohammad Kamrul Islam
◑Editor & publisher ☞ Mohammad Islam ✪Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
✪Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, ✆Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126
◑web:www.samakalinkagoj.com. ✪For news:(Online & Print)samakalinkagojnews@gmail.com,
✪For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com✪For Editor & publisher:-editorsamakalinkagoj@gmail.com.✆Cell: +8801754-605090(Editor)☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
☞সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
◑ All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2025 Daily Samakalin Kagoj. All rights reserved.