ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।।
সারাদেশের মতো গাইবান্ধাতেও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুরুর দিনেই নকল ও অনিয়মের অভিযোগে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম দিনে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ৮ জন, কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে ২ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘুমাইটরী কলেজ কেন্দ্র থেকে আরও ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অনুপস্থিত ৪২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এইচএসসিতে ২৬৪ জন, কারিগরি শাখায় ৬০ জন এবং আলিম পরীক্ষায় ১০৫ জন রয়েছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অসুস্থতা, পরিবহন সমস্যা বা ব্যক্তিগত কারণে অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় ফেলের আশঙ্কায় পরীক্ষা না দেওয়ার প্রবণতাও থাকতে পারে।
চলতি বছর গাইবান্ধা জেলার ৫৩টি কেন্দ্রে মোট ২২ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে এইচএসসি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ২৮৭ জন, কারিগরি ও ভোকেশনাল কেন্দ্রে ৫ হাজার ৪৬৬ জন এবং আলিম কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
পরীক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম কাজ করছে। প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতি রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা ও হেল্পলাইন চালু রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, "পরীক্ষার হলে কঠোর নিরাপত্তা ছিল, কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী নকল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করায় তাদের সার্চ করা হয়েছে।"
অভিভাবক নাসিমা বেগম বলেন, "আমরা চাই পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। নকলকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।"
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, "পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা পেলে আমরা একটি নকলমুক্ত ও সুন্দর পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারব।