প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৪, ২০২৫, ১১:১৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৫, ৬:০২ পি.এম
শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বাজিমাত রায়হানের

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বাজিমাত করে সফল হয়েছেন রায়হান নামের এক ব্যাক্তি। শুধু মাত্র ৩০ গ্ৰাম বীজ ১ শতক জমিতে ছিটিয়ে। কম খরচে ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাম্পার ফলনে রায়হান এখন খুশি। বর্তমানে রায়হানের সফল হবার গল্পে তার প্রতিবেশীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন পেঁয়াজ চাষে।
‘সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিভাবে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়নি,’ একথা বলছিলেন তাপস চক্রবর্তী।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার খলিলপুর গ্রামে তথ্য নিয়ে জানা যায়, খেত থেকে বড় বড় সাইজের গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ সংগ্রহ করছিলেন চাষী রায়হান আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের দিকে লালতীরের মাট কর্মীরা একদিন এসে বললেন গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের কথা। বাড়ির পাশের প্রায় এক শতক জায়গা খালিই পড়েছিল পতিত জমির মত। মাটকর্মীরা পেঁয়াজ চাষের পদ্ধতি ও হাইব্রিড বীজ দিলেন। আমি তথ্য নিয়ে শুরু করেদিয়েছিলাম কাজ। পেঁয়াজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করলাম। জমিতে বীজ ছিটিয়ে দিলাম। কিছুদিন যেতেই দেখি গাছের চারাগুলো গজিয়ে উঠছে। গাছ বড় হলে ছত্রাক নাশক ছিটিয়ে দিলাম। এখন আমার প্রতিটি গাছে বড় বড় পেঁয়াজ ধরেছে। খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে ওজন করে দেখি ৪ থেকে ৫ টায় এক কেজি হয়ে যায়। দেশী পেঁয়াজের মতো স্বাদ। যেহেতু একশতক জায়গায় করে আমি সফল হয়েছি এখন বড় জায়গা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করবো।’
লালতীর সীড লিমিটেড এর ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিকভাবে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়নি। আমরা শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামে একজন কৃষকে উদ্ভুদ্ধ করি পেয়াজ চাষে। লালতীর সিড লিমিটেড এর তিনটি জাতের (এলটি হাইব্রিড, বিজিএস ৪০৩ ও রেড হিল) পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করি। এরমধ্যে তুলনামূলকভাবে বিজিএস ৪০৩ ভালো ফলন এসেছে। আমরা মনে করি লালতীরের এই গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ যদি আমরা ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করি তাহলে আমাদের আর পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে এই পেঁয়াজ বড় ভুমিকা রাখবে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশী হয়, সেই কারনে আমরা গ্রীস্মকালে পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে পারি না। সরকারিভাবে ও লালতীর এর মাধ্যমে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। যাতে আমরা গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ’টা বাড়াতে পারি। খলিলপুরে লালতীরের প্রদর্শনী মাঠে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আমরা চাই এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক বিস্তার করা হোক। পেঁয়াজ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক এবং এর উৎপাদন খরচও অনেক কম।’
◑ Chief Adviser ☞ ◑ Adviser☞ Mohammad Kamrul Islam
◑Editor & publisher ☞ Mohammad Islam ✪Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
✪Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, ✆Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126
◑web:www.samakalinkagoj.com. ✪For news:(Online & Print)samakalinkagojnews@gmail.com,
✪For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com✪For Editor & publisher:-editorsamakalinkagoj@gmail.com.✆Cell: +8801754-605090(Editor)☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
☞সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
◑ All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2025 Daily Samakalin Kagoj. All rights reserved.