প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ৮:০৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ৫:৪৯ পি.এম
মুন্সীগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় গৌরবোজ্জ্বল দিন হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।১৯৭১ সালের এই দিনে মুন্সীগঞ্জ হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল।দিবসটি পালনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সর্বস্তরের জনগন।সকাল ৯ টায় শহরের পুরান হাসপাতাল পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত,পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার,সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো: শরিফ উল্লাহ,মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমাজ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।১৯৭১-এ রক্তঝরা দিনগুলোতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত মুন্সীগঞ্জ জেলাও গর্জে উঠেছিল।মুন্সীগঞ্জ ঢাকার সন্নিকটে হওয়ায় পাক বাহিনী এলাকাটিতে দখল রাখতে চেয়েছিল।মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে মুন্সীগঞ্জের প্রতি পাক-সেনাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল।মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস জেলার বিভিন্নস্থানে নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। ৯ মে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চলে ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা।রাতের আধারে সেদিন গ্রামে গ্রামে হত্যা করা হয় নিরস্ত্র-নিরপরাধ ৩৬০ জন মানুষকে।
এছাড়া আরও ছোট-বড় বেশ কয়েকটি হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী এই জনপদ। ৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জকে মুক্ত করতে পাক সেনাদের তিনটি বড় দলের সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্ত হয় মিত্র বাহিনীর বিমান বহর।দ্বিমুখী চাপে পাকসেনারা পিছু হটে।এরপর থেকেই পাক-হানাদার বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ১০ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা শহরের সবচেয়ে বড় হানাদার ক্যাম্প সরকারি হরগঙ্গা কলেজের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে ১১ ডিসেম্বর এই দিনে ভোরে ধলেশ্বরী নদী দিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী।শত্রু মুক্ত হয় পদ্মা,মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি বিধৌত মুন্সীগঞ্জ জেলা।পূর্ব আকাশে উঠে রক্তিম সূর্য।পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ।সকাল হতেই লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে জোর বিজয় উল্লাস ছড়িয়ে জেলার চারোদিকে।
(Editor & Publisher)
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.