প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ৯:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ৫:১৩ পি.এম
প্রথম এ্যারোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা
প্রতিনিধি।।
আধুনিক বিজ্ঞান যেমন সমাজের অনেক উন্নতি সাধন করেছে,তেমনি এই বিজ্ঞান পৃথিবীর শান্তি বিঘ্নিত করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেও তুলেছে।হিংসা,হানাহানি ও খুনোখুনি বেড়েই চলেছে। বিমান আবিষ্কারের ফলে যেমন সারা বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হয়েছে ,তেমনি জাতি,ধর্মের নামে সীমা অতিক্রম করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব যুদ্ধে। তবুও মানব সভ্যতায় বিমানের অবদান অনস্বীকার্য।
রাইট ভাইদের এরোপ্লেনের কথা সেই ছোটবেলা থেকেই ‘সাধারণ জ্ঞান’ নামক অসাধারণ জ্ঞানমূলক বিষয়ের খাতিরে আমরা পড়ে এসেছি। তবে তাদের এই প্লেন নিয়ে কিছু মজার ঘটনা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না।
এই ধরা যাক তাদের প্লেনের কথাই। এটা বানাতে সেই আমলে (১৯০৩) তাদের প্রায় ১,০০০ ডলার খরচ হয়েছিল। বর্তমানের হিসেবে যার মূল্য প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার ডলার। বলে রাখা ভাল, অরভিল রাইটের দেয়া এই হিসেবে তিনি কিন্তু নিজেদের বিনিয়োগকৃত শ্রম ও সময় কোনোটাকেই হিসেবে আনেননি, কেবল যন্ত্রাংশের খরচই উঠে এসেছে এখানে।
অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট;
ওদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার ডিপার্টমেন্ট স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি স্যামুয়েল ল্যাংলেকে ৫০,০০০ ডলারের অনুদান দিয়েছিল সেই ১৮৯৯ সালেই। উদ্দেশ্য সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নে সক্ষম একটি বিমান তৈরি করে দেয়া। বর্তমানের হিসেবে এই অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ডলার!
বলা বাহুল্য, এত বিশাল অর্থসাহায্য পাবার পরেও ল্যাংলের প্লেনটা কিন্তু উড়তেই পারেনি! সত্যিকারের আত্মনিবেদন আর দৃঢ়চেতা মনোভাব থাকলে যে অনেক অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়, তারই এক চমৎকার উদাহরণ দুই ভাইয়ের এই আর্থিক বাধা জয়ের ঘটনাটি।
অবশ্য এই এরোপ্লেন দুই ভাইকে পরবর্তী জীবনে হাত ভরেই ডলার এনে দিয়েছিল। ১৯১৪ সালে বাবা আর বোনকে নিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠেন অরভিল রাইট, যা বানাতে সেই আমলেই খরচ হয়েছিল ৩৯,৬০০ ডলার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই বাড়িতে ওঠার সৌভাগ্য উইলবারের হয়নি, কারণ ১৯১২ সালেই টাইফয়েডে ভুগে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। ১৯৪৮ সালে অরভিল রাইট যখন মারা যান, তখন তার রেখে যাওয়া সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল ১০,৬৭,১০৫.৭৩ ডলার!
শেষ করা যাক প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্লেনের ব্যবহার নিয়ে অরভিলের বক্তব্য নিয়েই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার অল্প কিছুদিন আগে যুদ্ধে প্লেনের সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখে তিনি এক কলামে লিখেছিলেন,
প্লেনগুলো যুদ্ধক্ষেত্রকে এতটাই ভয়াবহ করে তুলছে যে আমার মনে হয় না সামনে আর কোনো দেশ কোনো যুদ্ধেই জড়াতে চাইবে…।
ওদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা হামলার ভয়াবহতা দেখে চমকে উঠেছিলেন তিনিও। তাই তো এক চিঠিতে লিখেছিলেন,
একসময় আমি ভেবেছিলাম এরোপ্লেনের কারণে বোধহয় যুদ্ধ থেমে যাবে। কিন্তু এখনকার এরোপ্লেন আর পারমাণবিক বোমা দেখে মনে হচ্ছে সেটা বোধহয় কখনোই হবে না। মনে হচ্ছে, নাক উঁচু শাসকেরা দেশবাসীর জীবন, সম্পদ যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও নিজেদের স্বার্থ পুরোপুরি আদায় করেই ছাড়বে।
(Editor & Publisher)
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.