প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২৫, ৩:৩৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ৪:৫০ পি.এম

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
উওর কলকাতার এক সংস্কৃতি, ইতিহাস সমৃদ্ধ অঞ্চল হলো আজকের চিৎপুর। এই অঞ্চল বাবু কালচারের জন্য এক সময় ছিল প্রসিদ্ধ। জমিদারেরা পায়রা উড়াতেন, হারমোনিয়াম ও এসরাজের আওয়াজের সঙ্গে ঝুমুরের শব্দে মুখর হয়ে উঠতো সন্ধ্যার বাইজী নাচের আসর। গান,বাজনা,নাচের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল চিৎপুর। এখনো চিৎপুরের যাত্রা পাড়া সেই ঐতিহ্যকে কিছুটা টেনে রেখেছে।চিৎপুর এক ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা। এখন নামটি বাদলে রবীন্দ্র সরণি রাখা হলেও সকলেই চিৎপুর হিসাবেই জানে এখনো।
কোথায় এই চিৎপুর?
চিৎপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উত্তরাংশের একটি অঞ্চল। রবীন্দ্র সরণি-সংলগ্ন (এই রাস্তাটির পূর্বতন নাম চিৎপুর রোড) সমগ্র এলাকাটিকে কখনও কখনও চিৎপুর বলে অভিহিত করা হলেও, উক্ত এলাকার বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে।
চিৎপুর ইতিহাস
চিৎপুর অঞ্চলের ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। মনোহর ঘোষ এই অঞ্চলে দেবী চিত্তেশ্বরীর (কালী) একটি মন্দির নির্মাণ করেন। সেই মন্দিরের নামানুসারেই এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। কথিত আছে, উক্ত মন্দিরে সেকালে নরবলি দেওয়া হত। এই মন্দিরের নবরত্ন চূড়াটি ১৭৩৭ সালের ঘূর্ণিঘড়ে ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। বর্তমানে প্রাচীন মন্দিরটি একটি ধ্বংসস্তুপ হয়ে রয়েছে।
অন্য মতে, এই অঞ্চলের প্রকৃত নাম ছিল ‘চিত্রপুর’। ১৪৯৫ সালে রচিত বিপ্রদাস পিপলাইয়ের মনসামঙ্গল কাব্যে এই অঞ্চলের উল্লেখ আছে। এই মত অনুসারে, চক্রপাণি নামে বাংলার নবাবের এক সেনাপতি এখানে বাস করতেন। এটি ছিল শিল্পীদের একটি বর্ধিষ্ণু অঞ্চল। ১৬১০ সালে জনৈক গোবিন্দ ঘোষ চিত্তেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চিতে ডাকাত নামে এই অঞ্চলের এক কুখ্যাত ডাকাত এই মন্দিরে নরবলি দিত। চিতে ডাকাতের নাম অনুসারেও এই অঞ্চলের নামকরণ হওয়া সম্ভব।[
১৭১৭ সালে মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের কাছ থেকে ইংরেজরা যে ৩৮টি গ্রামের স্বত্ত্ব লাভ করে, তার মধ্যে চিৎপুর ছিল অন্যতম। পরবর্তীকালে চিৎপুর, টালা, বীরপাড়া ও কালীদহ গ্রামগুলিকে নিয়ে ডিহি চিৎপুর গঠিত হয়।
চিৎপুরের নবাব মহম্মদ রেজা খাঁর একটি বাগানবাড়ি এখানে ছিল। দিল্লির মুঘল সম্রাটদের কাছ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানি লাভের পর কয়েক বছর মহম্মদ রেজা খাঁর হাতে বাংলার প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল। তৎকালীন শাসকশক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই চিৎপুরের নবাব পদে বহাল ছিলেন এবং শাসকশক্তি তাকে প্রথম সারির ব্যক্তিত্বের স্থান দিয়েছিল। ড্যানিশ, ফরাসি ও ডাচ গভর্নররা যথাক্রমে শ্রীরামপুর, চন্দননগর ও চুঁচুড়া থেকে কলকাতায় এলে প্রথানুসারে লাটভবনে যাবার আগে চিৎপুরে খানিকক্ষণ অবস্থান করতেন।
সার্কুলার খাল চিৎপুরেই হুগলি নদীতে মিশেছে। ২০শ শতাব্দীতে একটি বিশাল লক অ্যান্ড টাইডাল বেসিন এই খালের মুখে নির্মিত হয়।
এন্টালি, মানিকতলা, বেলগাছিয়া, উল্টোডাঙ্গা, চিৎপুর, কাশীপুর, বেনিয়াপুকুরের অংশবিশেষ, বালিগঞ্জ, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর এবং গার্ডেনরিচ ও টালিগঞ্জের অংশবিশেষ ১৮৮৮ সালে কলকাতা পৌরসংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়।
কলকাতার সুদূর দক্ষিণাঞ্চল থেকে একটি রাস্তা উত্তর দিকে এসেছে। এই রাস্তার মধ্যে অঞ্চল বিশেষে রসা রোড, চৌরঙ্গি রোড, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, চিৎপুর রোড ও ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড নামে পরিচিত। এরপর এটি দমদম রোড নাম নিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও কালীঘাটের মধ্যে এটি একটি প্রাচীন যোগসূত্র। কথিত আছে, কলকাতার আদি জমিদার বরিশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার এই রাস্তাটি তৈরি করিয়েছিলেন। বরিশায় এই পরিবারের নবীন শাখাটি এবং ব্যারাকপুরের উত্তরে হালিশহরে এঁদের প্রাচীন শাখাটি বাস করেন।
পুরনো চিৎপুর রোডটি ছিল একটি জনপ্রিয় তীর্থপথ। এই পথের ধারে অনেক ধর্মশালা ও দোকান-বাজার ছিল। তাই এই রাস্তাটিকে ঘিরে দ্রুত জনবসতি গড়ে ওঠে, এখানকার মুরগির বাজার ‘মুরগিহাটা’, একটি ছোটো নালার উপর দুটি সাঁকো ‘জোড়াসাঁকো’, মাংসের বাজার ‘কসাইটোলা’ ও মৃৎশিল্পীদের বসতি অঞ্চলটি ‘কুমারটুলি’ নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে এই কুমারটুলি অঞ্চলের শিল্পীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে মাটির মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ১৭৫০-এর দশকে গোবিন্দপুরে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হলে উক্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা উত্তর কলকাতায় চলে আসেন।
চিৎপুর রোড
চিৎপুর রোড ছিল কলকাতার প্রাচীনতম রাস্তা। ধনীদের পাশাপাশি এই অঞ্চলে বহু সাধারণ ব্যবসায়ীর বাস ছিল। বাংলা পঞ্জিকা এখানে ছাপা হত। এটিই ছিল বটতলা বইবাজারের কেন্দ্র। চিৎপুর রোডের সঙ্গে যুক্ত অনেক কিছুই কলকাতার বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল – পান, আড্ডা, যাত্রা ও বিবাহ উৎসবে ‘হি ইজ আ জলি গুড ফেলো’ গাওয়া ব্রাস ব্যান্ডের কেন্দ্র ছিল এই রাস্তা।
লোয়ার চিৎপুর রোডের একটি অংশ দিল্লির চাঁদনি চকের সমতুল্য এলাকা ছিল। এখানেই ১৯২৬ সালে নাখোদা মসজিদ নির্মিত হয়। নবাবদের সর্বশেষ অবশিষ্টাংশ চিৎপুর রোডেই পাওয়া যেত। এই রাস্তাতেই রামমোহন রায় ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই পরে আদি ব্রাহ্মসমাজে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর এই রাস্তাটি এখানকার বিশিষ্টতম বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে নামাঙ্কিত হয়ে ‘রবীন্দ্র সরণি’ নামে পরিচিত হয়। কলকাতার বিভিন্ন জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ এই রাস্তার বাসিন্দা।
ঠাকুর পরিবারের আদি বাসভবন তথা অধুনা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো শিক্ষাপ্রাঙ্গন ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি’ এই রাস্তার ধারেই অবস্থিত।
এই কলকাতার জান বাজারে জমিদার ছিলেন ,
তার স্ত্রী রানী রাসমণি একসময় কলকাতাকে চির স্মরণীয় করে তুলেছেন। অসাধারণ বুদ্ধিমতী, ধর্ম পরায়না রানী রাসমণি প্রবল পরাক্রমশালী ব্রিটিশের বিরুদ্ধে একের পর এক সংঘর্ষ করে চলেছেন। বিশাল সাম্রাজ্যকে সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে এক ভব্য ও বিশাল কালী মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরের নাম সারা বিশ্বেই পারিচিত। এখানেই সাধনা ও পুজো করতেন স্বনামধন্য রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। এই মন্দির বিখ্যাত হয়ে উঠেছে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, তার স্ত্রী সারদা দেবী, এবং রানী রাসমণির জন্য। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের পরম আদরের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি জড়িত এই কলকাতা। এখান থেকেই স্বামীজি শিকাগো গিয়ে সনাতন ধর্মের প্রচারের গিয়ে সারা বিশ্বে সাড়া জাগিয়ে তুলেছিলেন। তার সেই আবেগপূর্ণ ভাষণের আগে তিনি আমেরিকা বাসীদের উদ্দেশ্যে , আমার ভাই ও বোনেরা বলে বক্তব্য শুরু করেছিলেন। করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। এই বাগবাজারের আনাচে কানাচে সেবায় ব্রতী হয়েছিলেন স্বামীজির অনুগামী সিস্টার নিবেদিতা। তিনি দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
এই সেই তৎকালীন চিৎপুরের এক পাশে ভবানীপুরে ছিল ভারতের শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাস গৃহ ও কর্মকাণ্ডের অন্যতম স্থান। চিৎপুর এর অধীনে বাগবাজারে একসময় নাট্য সম্রাট গিরিশ ঘোষ বিপ্লব এনেছিলেন নাট্য জগতে। তারই নাটকে অভিনয় করে নটি বিনোদিনী সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এখান থেকেই।
আরেকটি নাম না লিখলে অন্যায় হয়ে যাবে,তিনি হলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। চিৎপুর এলাকার অধীন শোভাবাজার অঞ্চলের আহিরীটোলায় তার জীবন শুরু হয়েছিল একজন সাধারণ চাকুরীজীবী হিসাবে।
পৌরসংস্থার ওয়ার্ড ও থানা
১৮৭৬ সালে কলকাতার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে একটি একক সাব-আর্বান মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে আনা হয়। ১৮৯৯ সালে শহরতলি এলাকাকে ভেঙে ‘সাব-আর্বান মিউনিসিপ্যালিটি অফ কাশীপুর অ্যান্ড চিৎপুর’ গঠিত হয়। ১৯৩১ সালে এটি কলকাতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। চিৎপুর এখন কলকাতা পৌরসংস্থার ৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এই এলাকার পশ্চিম দিকে হুগলি নদী এবং অন্য তিন দিকে রয়েছে কাশীপুর, সিঁথি, পাইকপাড়া, বেলগাছিয়া ও বাগবাজার এলাকা। হুগলি নদীর পশ্চিমে হাওড়া শহরের সালকিয়া অবস্থিত।
চিৎপুর থানা কলকাতা পুলিশের উত্তর ও উত্তর শহরতলি বিভাগের অধীনস্থ।
রেল পরিবহন
চিৎপুরে কলকাতা রেল স্টেশন অবস্থিত। এটি কলকাতার চতুর্থ ও সাম্প্রতিকতম যাত্রীবাহী ট্রেনের টার্মিনাল স্টেশন। কলকাতার প্রথম দুটি টার্মিনাল স্টেশন হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন এক শতাব্দীরও আগে নির্মিত হয়। এই দুই স্টেশনের যাত্রীর চাপ কমাতে কলকাতা স্টেশন স্থাপিত হয়েছে। কলকাতার তৃতীয় স্টেশন শালিমার দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনস্থ এবং হাওড়া জেলায় অবস্থিত হওয়ায় কলকাতার নগরকেন্দ্র থেকে অনেকটাই দূরে। নতুন টার্মিনালটির নামকরণ করা হয়েছে ‘কলকাতা’। চিৎপুর এর আগে এক শতাব্দীকাল রেলের একটি ইয়ার্ড ছিল। নতুন টার্মিনাল কোথায় হওয়া উচিত তা নিয়ে বিস্তর চিন্তাভাবনার পর শহরকেন্দ্র থেকে এর নৈকট্যের কারণে ভারতীয় রেল এখানেই টার্মিনাল স্থাপন করে ।
খুব কাছেই রয়েছে সেই বুক কাঁপানো মারাঠা ডিচ খাল। এই খালের এক ভয়াবহ ইতিহাস রয়েছে। মারাঠা দস্যুরা একসময় এই খাল বেয়ে কলকাতায় ঢুকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ মানুষের আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের ব্যাপক লুটতরাজ।এই খাল এখন আর তেমন সতেজ নেই। আশেপাশে গজিয়ে উঠেছে অনেক ঝুগগী ঝুপড়ি।কাছেই রয়েছে আলোর নিচে অন্ধকারের মতো সম্ভ্রান্ত পতিতা পল্লী সোনাগাছি। অনেকের চোখের জল,অনেকের জীবিকার কেন্দ্রস্থল এটি।
চিৎপুর ট্রাম লাইনের দুপাশে অসংখ্য যাত্রা পার্টির অফিস রয়েছে। যাত্রা আমাদের বাংলা সংস্কৃতি বিশেষ করে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে। শীতের মরসুমের আগেই যাত্রা জগতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সারা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে অসম, ত্রিপুরা এমনকি বিহার,ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকায় দাপিয়ে চলে এই যাত্রা উৎসব। চিৎপুর এবং অন্যত্র ছাড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাত্রা জগতে প্রায় লক্ষাধিক শিল্পী কর্মী জড়িয়ে রয়েছেন। প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ লোকের জীবিকা নির্বাহ চলে এই যাত্রা থেকে। এজন্য যাত্রাকে শিল্পের পর্যায়ে রাখা হয়েছে। প্রতিবছর এই চিৎপুর থেকে শিল্পী কর্মী বোঝাই যাত্রী বাসের চাকা সারা দেশ পরিক্রম করে থাকে। সরকারের উদ্যোগে যাত্রা সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন জায়গায়।
আরো একটু দূরে গেলে দেখা যাবে গঙ্গা নদী। এই গঙ্গার ধারে পর পর রয়েছে বিখ্যাত শ্মশান ঘাট নিমতলা, কেওড়াতলা। দূর দূর থেকে শব দাহ করার জন্য পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব এখানে আসেন। ২৪ ঘণ্টা চলে নাম কীর্তন। চিতার আগুন জ্বলতে দেখা যায় সারাক্ষণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও এখানেই দাহ করা হয়েছিল। এই গঙ্গার বুকেই রয়েছে সারিসারি নৌকো, লঞ্চ। লঞ্চে করে হাওড়া স্টেশন ছাড়াও অনেক জায়গায় যাওয়া যায়।
গঙ্গার ঘাট এবং বাগবাজার , শ্যামবাজারের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে দীর্ঘ রাস্তা গিরিশ এভিনিউ। এই রাস্তার ওপর কিছু দূরে গিরিশ পার্ক। তারই গায়ে কবিগুরুর জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি। পাশেই রয়েছে বিখ্যাত নাখোদা মসজিদ।
সেদিনের এই চিৎপুর এখন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়েও উঠেছে। বড় বাজার সবথেকে বড় পাইকারি বাজার কলকাতার।
তৎকালীন চিৎপুর এলাকায় রয়েছে মিনার্ভা, স্টার,বিশ্বরূপ থিয়েটার। বহু সিনেমা হল রয়েছে।তবে আগের জৌলুস কারো নেই। বহু বৈচিত্রের মধ্যেও চিৎপুর এখনো আছে চিৎপুরেই।
◑ Chief Adviser-☞ Abu Jafor Ahamed babul ◑ Adviser☞ Mohammad Kamrul Islam
◑Editor & publisher-☞ Mohammad Islam ✪Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
✪Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, ✆Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000126
◑web:www.samakalinkagoj.com. ✪For news:(Online & Print)samakalinkagojnews@gmail.com,
✪For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com✪For Editor & publisher:-editorsamakalinkagoj@gmail.com.✆Cell: +8801754-605090(Editor)☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
☞সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
◑ All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2025 Daily Samakalin Kagoj. All rights reserved.