প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১১:৩৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ২:১১ পি.এম
লাগামহীন ভুয়া পেইজে ব্যাহত মূলধারার সাংবাদিকতা
ভালুকায় তথ্য সন্ত্রাসের আদ্যোপান্ত, পর্ব-১
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
শিল্প ও সম্ভাবনার শহর ভালুকা এখন সাইবার ক্রাইম ও তথ্য সন্ত্রাসে অপকর্ম ও গুজবের শহরে পরিনত হয়ে উঠছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বেশ কতগুলো চিহ্নিত ফেক আইডি থেকে প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যাচার বানোয়াট এবং মনগড়া তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এতে অসহায় পরিবার সদস্য,সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মূল ধারার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আত্নসম্মান নিয়ে বাঁচার সংশয়ে রয়েছেন । স্থানীয় কিছু কথিত হলুদ সাংবাদিকরা এর সাথে জড়িত বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই এদের এখনি রুখে না দিলে যে কোন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ গুজবের কবলে পড়বে সমাজ ও রাষ্ট্র ।
সম্প্রতি ভালুকা উপজেলায় বিউটিফুল ভালুকা , ওয়ান্ডারফুল ভালুকা সহ ভালুকার নামের সাথে জরিয়ে প্রায় ৩০-৪০ টি ফেক আইডির সন্ধান মিলেছে এ অনুসন্ধানে। এ নিয়ে ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, ওই সব ফেক আইডির জনকরা পরিচয় গোপন করে ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কোনো ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই অথবা যেখানে কোন কিছুই ঘটে নাই এমন সব বানোয়াট ঘটনার মিথ্যা প্রতিবেদন সাজিয়ে ভূক্তভোগীদের প্রতিপক্ষদের সাথে আর্থিক আতাতের মাধ্যমে ঘটে যাওয়া তুচ্ছ ঘটনাকে ব্যাপক ভাবে অতি রন্জিত করে প্রকাশ করে সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিবর্গের চরিত্র হননের চেষ্টা চালায় সাইবার তথ্য সন্ত্রাসীরা। প্রতিহিংসা পরায়ন এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিকারের পথ খুজতে গিয়েও নানা রকম হয়নারীর শিকার হচ্ছেন নিরপরাধ ব্যাক্তিবর্গ । তাই তাদের দাবী ভালুকার সকল অসাধু সাইবার তথ্য সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের আওতায় আনার।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি একুশে টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভালুকার কতিপয় কিছু হলুদ সাংবাদিক অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের জন্য ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুককে পুজি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি আরো জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সম্প্রতি ওনার পারিবারিক একটি ঘটনাকে পুত্রের বিরুদ্ধে বাবাকে ভূল বুঝিয়ে থানায় মামলা দিয়ে মানববন্ধনে রুপান্তরিত করে ডাহা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ যা মূল ঘটনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হীন প্রচারসহ দল বেঁধে ট্রল করে তার চরিত্র হননের চেষ্টা চালায় । পরে আদালতে এই অবান্তর মিথ্যা খবরের সত্যতার প্রমান তদন্তে না পাওয়ায় আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেয়। পরে এ নিয়ে ওই সাংবাদিক আত্মসম্মান রক্ষা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবী করে অবৈধ ফেইসবুক আইডির মালিকসহ তথাকথিত হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারীকে নিয়ে এই চক্রটি ফেইসবুকে আপত্তিকর সংবাদ প্রচার করে তা দল বেধে ট্রল করে তার চরিত্র হননেরও চেষ্টা চালায় । এক পর্যায়ে সকল পোষ্ট মুছে ফেলার জন্য মোটা অংকের অর্থ দাবী করা হয় ওই নারীর কাছে,। এ সকল মামলা গুলো তদন্তাধীন রয়েছে ।
এই সব সাইবার সন্ত্রাসীদের বেপোয়াপনায় অতিষ্ট হয়ে আরেক ভূক্তভোগী মেদুয়ায়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
আরেক ভূক্তভোগী ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক রকিবুল হাসান খান রাসেল জানান, ক্ষমতার পালা বদলের পর যুবদলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের দল থেকে সড়িয়ে অনুপ্রবেশকারীরা রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় দুঃসময়ের ও দূর্দিনের পরিক্ষিত এই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার চরিত্রে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে যুবদলের এ নেতা ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। তিনি বলেন, এখনি যদি তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনা হয় তা হলে রাজনৈতিক সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যাক্তিই সম্মান নিয়ে বাচার পথ থাকবে না।
এ রকম সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য ভূক্তভোগী সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিকার চেয়ে ভালুকা মডেল থানা ও ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করলেও এ সব সাইবার সন্ত্রাসীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শামছুল হুদা খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান সাইবার অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ভূক্তভোগীরা ভালুকা মডেল থানায় একাধিক সাধারন ডায়েরী করেছে। তার আলোকে অভিযোগ গুলো সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা করছেন দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য এইসব নাম পরিচয়হীন গুজব রটানো পেইজগুলো কারা পরিচালনা করছে এমনকি এই সিন্ডিকেটের প্রত্যেকের মুখোশ খুব তাড়াতাড়ি উন্মোচন করা হবে পরবর্তী পর্বে।
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.