প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ৪:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২৭, ২০২৪, ৬:২৬ পি.এম
মশার উপদ্রবে আতঙ্কে সব দেশ,তবে মশা নিশ্চিহ্ন কোন দেশে?
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
দেশে বিদেশে মশার উপদ্রবে মানুষ নাজেহাল। খাওয়া দাওয়া সব উড়ে যায় মশার জ্বালাতনে। এ মশার থেকে রেহাই নেই কোনও দেশে। মশার কামড়ে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে হয় মানুষ কে। রস নদী জ্বর , ডেঙ্গি , ম্যালেরিয়া , চিকুনগুনিয়া , আর্বোভাইরাস , টুলারেমিয়া , ইয়েলো ফিভার , ইত্যাদি । এ ধরনের রোগ থেকে মানুষের মুক্তি পাওয়া খুব মুশকিল কারন এগুলো এমন রোগ যে মানুষ কে তীব্র অসুস্থ করে দেয়। সঠিক সময় রোগ নির্ধারন করে চিকিৎসা না করালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মানুষের শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়ী হয় বিভিন্ন প্রজাতির মশারা। এ ধরনের প্রজাতির মশা কোত্থেক কিভাবে আসে তা জানলে অবাক হবেন! এই মশার আস্তানা হলো জমানো নোংরা জল বা নালা । পরিবেশ দূষণ এর কারণে ও মশার উপদ্রব বাড়ে। তাই বাড়িতে বা বাড়ির বারান্দা তে তুলসী গাছ রাখবেন কম মশা ঢুকবে আর বাড়ির যে কোনও জানলাতে লবঙ্গ আর লেবু রেখে দেবেন মশার উপদ্রব কম হবে আর বাঁচবেন অন্তত। এটা মনে রাখবেন যে মশার হাত থেকে কোনও মুক্তি নেই সহজে , মশার জ্বালাতনে মানুষদের জ্বলতে হবে তবে কিছু টিপ্স মেনে চললে মশার উপদ্রব কম হবে। মশারা মানুষের রক্তের গন্ধ খুঁজে ঠিক এসে পড়ে কামড়ানোর জন্য। মশা যখন কামড়ায় তখন সে মানুষের রক্ত চুষে বিষ ঢুকিয়ে রোগ ঢুকিয়ে দেয় এতে আরো দুর্বল হয় মানুষ আর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মশার কামড়ের জায়গায় ময়লা নখের আঁচড়ে ও রোগ হয় অনেক সময়। এতে তো বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। বাচ্চাদের সবসময়ই মশার হাত থেকে বাঁচাতে মশারি টাঙাবেন বা গুড নাইট মর্টিন জ্বালিয়ে রাখবেন রাতে ঘুমানোর সময়। অন্যান্য সময় মর্টিন জ্বালিয়ে নেবেন মশার হাত থেকে তবেই বাঁচবেন। তা না হলে মশার কামড় খেতে হবে মানুষদের এ নিয়ম না মানলে । মশার কামড়ের মাধ্যমে শরীরে রোগের জীবাণু প্রবেশের ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ চোখে পড়া শুরু হয়। ঘরোয়া উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচাতে ইউক্যালিপটাস তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, দারুচিনি তেল, তুলসীপাতার তেল, থাইম অয়েল কয়েক ফোঁটা ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের অনাবৃত অংশে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে বাইরে বের হলেও মশার কামড় থেকে বাঁচবেন। জমানো জল জমিয়ে রাখবেন না কারণ জমানো জলে মশা সবসময় বংশ বিস্তার করে সেটা পরিষ্কার বা অপরিস্কার হোক। তবে হয় তো মশা কামড়ের আতঙ্ক বা মশা পাবেন না তা তো নয় মশার আতঙ্ক সারা দেশে চলবে।
তবে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি মাত্র দেশে মশার 'ম' ও নেই, নিশ্চিহ্ন সেই দেশে মশা। তার কারন জানেন কি? সেটা হলো আবহাওয়া। আর সেই দেশ হলো নার্ভিক অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ড । আইসল্যান্ডের আবহাওয়া এত বেশি প্রতিকূল যে মশার টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানে। শীত শেষ হতে না হতেই ৪০ দিনের মধ্যে আবার শীত পড়ে যায় এরকম জায়গা আইসল্যান্ড। ফলে কিছুটা বরফ গলে যা-ও একটু জলে পরিনত হয়, তা আবার বরফই হয়ে যায়। এ কারনেই এতে মশা জন্মালে ও বংশবৃদ্ধি করতে পারবে না আর তা ছাড়া তীব্র শীতে মশার বেঁচে থাকা ও মুশকিল। এ ছাড়া মশার বংশবিস্তারের জন্য দরকার হয় জলাশয়। অন্যান্য দেশে মশার উপদ্রব হয় তো জলাশয় এর কারনে সেই জন্য তো ভিন্ন ধরনের মশা বংশ বিস্তার করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিকের যে অনুপাত আছে , তা মশার বংশ বৃদ্ধিকে দারুণ চ্যালেঞ্জ জানায়। মারাত্মক শীত শ্রোতহীন নদী প্রয়োজনীয় জলাশয়ের অভাবে এখানে কোনও মশা জমে টিকে থাকতে পারে না।
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.