প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১০:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৭, ২০২৪, ৪:৫২ এ.এম
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানকে পদত্যাগে বাধ্য করলেন শিক্ষার্থীরা
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি'কে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে বাধ্য করিয়ে পদত্যাগ করিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সহকারি ভূমি সানজিদা, জুড়ী থানার ওসি মেহেদি হাসানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আগামী রোববার পদত্যাগপত্র জমা করবেন মর্মে সাদা কাগজে লিখিতভাবে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান তিনি। সরেজমিন সূত্র মতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে জুড়ী নিউ মার্কেটে ব্যক্তিগত কাজে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি। এ সময় সেখানে কয়েকজন ছাত্র এসে তাকে ঘিরে ফেলে পদত্যাগ করতে বলেন। প্রায় ঘন্টাখানেক সেখানে অবস্থানের পর জুড়ী থানার ওসি মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সবাইকে উপজেলায় নিয়ে আসেন।সেখানে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও ওসি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধরের নিকট সাদা কাগজে সাক্ষর দিয়ে রবিবারে পদত্যাগ করবেন বলে উল্লেখ করে মুচলেকা দিলে তাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমার বক্তব্য লিখিত দিয়েছি, এর বাহিরে কোন বক্তব্য নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর বলেন, শিক্ষার্থীরা উপজেলা চেয়ারম্যান'কে এখানে নিয়ে এসেছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উনি রোববার পদত্যাগ করবেন বলে সাদা কাগজে লিখিত দিয়েছেন। এ দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি'কে জোর পূর্বক বাধ্য করে পদত্যাগ করানো হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কর্মকান্ড নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন সাধারন মানুষ। তাদের অনেকের ভাষ্যমতে, সর্বশেষ কোঠা আন্দোলনকে দমন করতে জুড়ীতে আওয়ামী লীগের যে মিছিল করা হয়েছিল সে মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও ৫ জন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য না করে শুধু কিশোর রায় চৌধুরী মনি সংখ্যালঘু সসম্প্রদায়ের হবার কারনে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কোঠা আন্দোলনে সমর্থনকারী সামাদ আহমদ রাজ্জাক লিখেছেন, আমাদের শান্ত জুড়ীকে অশান্ত করতে মিছিলে উপস্থিত সকল জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ করাতে না পারলে একজনকে পদত্যাগ করানো সবচেয়ে বড় বৈষম্যমূলক আচরণ হবে বলে বলেন। জুড়ী উপজেলা বিএনপি'র নেতা মামুনুর রশীদ লিখেন, মিছিলে উপস্থিত সকল জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ করাতে না পারলে একজনকে পদত্যাগ করানো বড় বৈষম্য হবে বলে মনে করছি।
✪উপদেষ্টা ☞বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম/এন ইসলাম(অব:প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা)
✪সম্পাদক ও প্রকাশক ☞ এমডি এস ইসলাম
☞ For Advertisements:- ads.samakalinkagoj@gmail.com.
☞ For News:- samakalinkagoj@gmail.com
✪ সম্পাদকীয় বানিজ্যিক ও প্রধান কার্যালয়:-মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১২১২
✪ আঞ্চলিক কার্যালয়:-২৪০,বি বি রোড,চাষাড়া-নারায়নগঞ্জ-১৪০০
✆ Tel No:-02-47650077, 02-2244272
✆Cell No+8801885-000126, +8801754-605090
☞web- www.samakalinkagoj.com
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪➤ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.