প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ৭:১৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৪, ৬:৪৫ পি.এম
সিলেটে হাকালুকি হাওরের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় দফা লাগাতার বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে মৌলভীবাজারের মনূ ও ধলাই নদে পানি কমলেও হাকালুকি হাওর বেষ্টিত জুড়ী নদে এখনো বিপদসীমার ১৪৩ সে.মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র নদী কুশিয়ারায় এখনো ধীর গতিতে পানি কমছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, কুশিয়ারায় বিপদসীমার ২৭ সে.মি: নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ঘর-বাড়ি এখনো তলিয়ে রয়েছে।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীপাড়ের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, নদী পাড়ের বকশিপুর, ছিক্কাগাঁও, কামালপুর, আমনপুর, সুরিখাল, যুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, কান্দিগাও, জোড়াপুর, রামপুর ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাদাপুর, হামিদপুর, বেড়কুড়ি, শাহাপুর, জাহিদপুর, আব্দুল্লাহপুর, ইসলামপুর ও সদর উপজেলার মনূমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মণগ্রাম, হামরাকনো, নতুন বস্তি ও দাউদপুর এলাকাসহ নদী পাড়ের চার ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম এখনো প্লাবিত রয়েছে।
নদীপাড়ের জলমগ্ন এলাকার বন্যাক্রান্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কুশিয়ারা নদী থেকে পানি কমতেই চাচ্ছে না। প্রতিদিন এক থেকে দুই সে.মি. পানি কমছে। তারা জানান, এখনো নদীপাড়ের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের ঘর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তঘাট ও উঠানের ৯৫ শতাংশ জায়গা তলিয়ে রয়েছে। তারা কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, মুষ্টিময় ত্রাণ পেয়ে তাদের আহার মিটবে না। তারা চান বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সোমবার জানায়, জেলায় ৫ হাজার ১শ ৬২ হেক্টর রূপা আউস জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ৩০ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে। সব্জির আরো ১ হাজার ৫৪ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রূপা আউস ক্ষেতের ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, রূপা আউস ছাড়াও আগামীতে ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর রুপা আমন আবাদ হবে। বন্যার এই পরিস্থিতি থাকলে রূপা আমনও চাষাবাদে ব্যাহত হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলা জুড়ে ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টি বন্যাক্রান্ত হওয়াতে এখনো বন্ধ রয়েছে। ৬৯টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় ২১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল-কলেজ মিলে ৩৪টি ও মাদ্রাসা মিলে আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠান এখন ও বন্ধ রয়েছে।
✪উপদেষ্টা ☞বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম/এন ইসলাম(অব:প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা)
✪সম্পাদক ও প্রকাশক ☞ এমডি এস ইসলাম
☞ For Advertisements:- ads.samakalinkagoj@gmail.com.
☞ For News:- samakalinkagoj@gmail.com
✪ সম্পাদকীয় বানিজ্যিক ও প্রধান কার্যালয়:-মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১২১২
✪ আঞ্চলিক কার্যালয়:-২৪০,বি বি রোড,চাষাড়া-নারায়নগঞ্জ-১৪০০
✆ Tel No:-02-47650077, 02-2244272
✆Cell No+8801885-000126, +8801754-605090
☞web- www.samakalinkagoj.com
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪➤ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.