প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ৭:২৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৪, ১২:৪৭ পি.এম
লৌহজংয়ে ঠিকাদারের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা রেখেই খাল খনন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিজের একাধিক অবৈধ স্থাপনা রেখেই খাল খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থাপনাগুলোর উচ্ছেদ ঠেকাতেই তিনি এমনটা করছেন বলে দাবি খালপাড়ের বাসিন্দাদের।উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাট খালের জমি পুনরুদ্ধার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খালের পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দারা।তাদের ভাষ্য,পূর্ব পাশে খাল খনন কাজের উপ-ঠিকাদার শামীম মোড়লের একাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকায় তিনি ইচ্ছা করেই সেগুলো উচ্ছেদ করেননি।উল্টো পশ্চিম পাশের সরকারি সড়ক কেটে চলাচলকারীদের বেকায়দায় ফেলেছেন।গত বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে,কনকসার-নাগেরহাট খালের পশ্চিম পাশের সরকারি সড়ক কেটে খাল খননকাজ করা হচ্ছে।কিন্তু পূর্ব পাশে খালের জমিতে একাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকলেও তা উচ্ছেদ করা হয়নি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কনকসার-নাগেরহাট খালের সাড়ে ৩ কিলোমিটার অংশ খনন ও সংস্কারকাজ পান লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা।স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিঠু বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় সিংহেরহাটি মাঠ থেকে কনকসার বাজার পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন আগে সড়কটি সংস্কারে জেলা পরিষদ থেকে ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দও আসে।কিন্তু এরই মধ্যে খাল খননের কাজে ব্যবহৃত ভেকু দিয়ে সড়কটি কেটে ফেলা হয়েছে।অথচ পূর্ব পাশে খালের জায়গায় একাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকলেও সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি।বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।তারা বুধবার সার্ভেয়ার পাঠিয়ে পূর্ব পাশের খালের জমিতে লাল নিশানা টানিয়েছে।স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি লালু ফকির বলেন,সরকারি খালের জমি দখল করে চারটি অবৈধ দোকানপাট তুলেছেন শামীম মোড়ল। সেগুলো উচ্ছেদ না করেই তিনি খাল খননকাজ শেষ করেছেন।কেন তাঁর স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে না? তাঁর খুটির জোর কোথায়?–এমন প্রশ্ন করেন তিনি।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম মৃধা বলেন, ‘শামীমের একাধিক অবৈধ স্থাপনার মধ্যে একটি প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের দোকানঘর রয়েছে।সেটি বাঁচাতে তিনি পশ্চিম পাশে আমার রেকর্ডীয় জমি কেটে ফেলেছেন।আমি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি।’আরেক বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন,প্রশাসনের উচিত,অবৈধ দখলদারদের দ্রুত উচ্ছেদ করে খালের জমি পুনরুদ্ধার করা।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, খালের পশ্চিম পাড়ে যে সরকারি রাস্তার কথা বলা হচ্ছে,সেখানেও খালের জমি রয়েছে।পূর্ব পাশে যে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে,সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া প্রশাসনের কাজ।শামীমের অবৈধ স্থাপনাগুলো অবশ্যই সরাতে হবে।তবে উপ-ঠিকাদার শামীম মোড়ল এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে বক্তব্য না দিয়ে দেখা করতে বলে সংযোগ কেটে দেন।লৌহজংয়ের ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, পূর্ব পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে,সেগুলোকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।শিগগিরই সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
✪উপদেষ্টা ☞বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম/এন ইসলাম(অব:প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা)
✪সম্পাদক ও প্রকাশক ☞ এমডি এস ইসলাম
☞ For Advertisements:- ads.samakalinkagoj@gmail.com.
☞ For News:- samakalinkagoj@gmail.com
✪ সম্পাদকীয় বানিজ্যিক ও প্রধান কার্যালয়:-মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১২১২
✪ আঞ্চলিক কার্যালয়:-২৪০,বি বি রোড,চাষাড়া-নারায়নগঞ্জ-১৪০০
✆ Tel No:-02-47650077, 02-2244272
✆Cell No+8801885-000126, +8801754-605090
☞web- www.samakalinkagoj.com
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪➤ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.