প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ৩:৪৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৪, ১:২২ পি.এম
না’গঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলের দুই ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র চাষাড়ার বি বি রোড সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী প্রিপারেটরী স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
সোমবার(১৫ জুলাই) সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসন করার নামে শ্রেণী কক্ষের মধ্যেই হাতে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত অবস্থায় হসপিটালাইজড করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষকের নাম আবদুর রাজ্জাক (৩৮)। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী অনেক অভিভাবকদের অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি একজন লুচু শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ছাত্রের অভিভাবকগন প্রতিকার পেতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
আহতরা হলেন, ১. মো আতিক(১৪), ২. জাকারিয়া (১৫) তারা দুজনেই স্কুলের একই ক্লাসের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সূত্রে জানা গেছে, সামান্য কারনে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগলে এক সময় এ ঘটনা প্রধান শিক্ষক আ: রাজ্জাক জানতে পারলে তাদের কিছুই জিজ্ঞেস না করে দুজনকে নিজ রুমে এলোপাতাড়ি হাতে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
একপর্যায়ে তারা রক্তাক্ত জখম হয়ে অতিরিক্ত ব্লিডিং হলে তাদের দুজনকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে (সেন্টাল হাসপাতালে) চিকিৎসা জন্য দ্রুত প্রেরন করে।
জানা গেছে সেন্টাল হাসপাতালে মালিকও এই প্রধান শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং একই স্কুলের অভিভাবক কমিটির সদস্য। প্রায় সময়ই তাদেরকে নানান স্থানে এক সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে দেখা যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেছে এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সুকৌশলে তা সকলকে চেপে যেতে বলে এমনকি ছাত্র অভিভাবকদের বিষয়টি চেপে গিয়ে সুরাহা করার জন্য প্রেশার ক্রিয়েট করতে থাকে এবং মূখ খূলতে নিষেধ করে।
এ ঘটনার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক জানান, ক্লাস চলাকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুজনে দুষ্টামি করছিল। এতে ক্লাস নিতে ডিসটার্ব হচ্ছিল। বারবার নিষেধ করার পরও তারা সরে যায়নি। তাই তাদের সরিয়ে দিতে গিয়ে হাত লেগে রক্ত বের হয়েছে। তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করে আরও বলেন, কোনো ছাত্রকে মারধর করা হয়নি; ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে ফোন কেটে রীতি মত ব্লগ করে দেন।পরবর্তীতে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে তার ছেলেকে পেছন থেকে কলার ধরে স্টিলের স্কেল দিয়ে বেদম মারধর করেছেন। নাক ফেঁটে এবং হাতের শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম করেছে অনেক রক্ত ঝরেছে; অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ফলে ব্যথায় চিৎকার করছে। পরবর্তী আহত ওই ছাত্রের একজনকে দ্রুত স্থানীয় সেন্টাল হাসপাতাল এবং অপর জনকে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। তিনি তার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি এ স্বেচ্ছাচারি লম্পট ও কূটচরিত্র প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। অপর আরেক অভিভাবক ভয়ে মূখ খুলতে রাজি হননি,প্রথমে স্বীকার করলেও পরবর্তী ওজুহাত দেখিয়ে লাইন কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা) হামিদুর রহমান এর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না! তবে অভিভাবকরা অভিযোগ দিলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তদুপরি বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে বলে আস্বস্ত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগেও এরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে এ সেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষক। যেখানে পাঁচটার পরে স্কুল বন্ধ থাকার কথা, সেখানে সন্ধ্যা হলে এ শিক্ষক স্কুলের ভিতরে বন্ধু -বান্ধব নিয়ে আসর বসান সরেজমিনে তা প্রতিয়মান। এ বিতর্কিত শিক্ষককে নিয়ে এর আগেও অনেক ঘটনার সূত্রে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি হয়েছে। অনভিজ্ঞ এ শিক্ষক কিভাবে একটা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব আছেন। যে কিনা কোনোদিনও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন না। কোথাও কোনো শিক্ষকতাই করেননি! সে কোন শক্তি বলে সরাসরি রাতারাতি প্রধান শিক্ষক বনে গেলেন? স্কুলে যোগদানের পর থেকেই তিনি সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছেন, তাই কেউ তার বিরুদ্ধে মূখ খুললেই চাকরি হারানো হুমকির মূখে পরে যায়। এ ভয়ে কেউই মূখ খুলতে রাজি হয় না। তার বিরুদ্ধে মূখ খুলে চাকরী হারিয়েছে ইসমত আর এবং শ্রাবণী সহ আরো কয়েকজন।অনেককেই বিপদে ফেলে দেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরও আগে শারমিন নামে এক শিক্ষকে স্কুলের ছাত্রের লাঞ্ছিতের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন।এ নিয়ে থানায়ও অভিযোগ হয়েছিলো।
বিস্তারিত আরও আসছে.....!
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.