প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ৭:৫১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৪, ১১:৩২ পি.এম
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২৬ অংশ ঝূঁকিপূর্ণ
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর ৫৭ কিঃ মিঃ বেরি বাঁধের ২৬ স্থানে ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধে বর্তমানে নাজুক অবস্থা।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রতিরক্ষা বাঁধের কমলগঞ্জ পৌরসভা অংশের পাঁচটি স্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গোপালনগর, কুমড়া কাঁপন, রামপাশা, আলেপুর এবং নরেন্দ্রপুর। এর মধ্যে রামপাশায় এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার জুড়ে বাঁধে ধস পড়েছে। বৃষ্টি হলেই পুরো বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন গোলেরহাওর মোকাবিল ও শ্রীপুর। আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখোলা, তিলকপুর,ঘোড়ামারা, বনগাঁও ও কেয়ালীঘাট,সদর ইউনিয়নের চৈতণ্যগঞ্জ নারায়ণপুর ও রামপুর, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি ও পাত্রখোলা, বর্তমানে বৃষ্টি না থাকায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে বাঁধে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত দুই দিনে বাঁধের অনেক জায়গায় ধস শুরু হয়েছে। পৌরসভার পাঁচটি স্থানসহ উপজেলার অন্তত ২৬টি স্থানে বাঁধ ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ধস হওয়া স্থানগুলোতে বাঁধের মাত্র দুই থেকে তিন ফুট বাকি রয়েছে। আবারও ভারী বৃষ্টি হলে এসব স্থানে বাঁধ ভেঙে গিয়ে নদীর পানি ঢুকে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পৌর এলাকার রামপাশা গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০০ ফুট অংশ ভেঙে বিলীন নদী গর্ভে। সেখানে এক ফুট পরিমাণ বাঁধ টিকে আছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পাঁচটি পরিবার রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকির আতঙ্কে।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস কারি রফিক মিয়া জানান আবারও নদীতে পানি বাড়লে পুরো বাঁধটি নদীতে চলে যাবে। দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানান তিনি।
এছাড়াও উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, বাদে করিমপুর, খুশালপুর ও লক্ষ্মীপুর। রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট, ধর্ম গ্রামের মসজিদের পাশে নাজুক অবস্থা প্রায় পনেরোটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে,চৈত্রঘাট ও কালেঙ্গা এই ২০ টি স্থানে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব স্থানে বাঁধ ভেঙে বর্তমানে এক থেকে দুই ফুট পরিমাণ মাটি আছে। চৈত্রঘাট এলাকায় গত ১৯ জুন এর বন্যায় বাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়। সেখানে বর্তমানে বাধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি। ঢলে বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল বলেন, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি।
মৌলভীবাজার (পাউবো) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর বাঁধগুলো পুরনো। অনেক স্থানে বাঁধের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সব ঝুঁকিপূর্ণ অংশের তালিকা করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই বাঁধের দ্রুত কাজ শুরু হবে।
✪উপদেষ্টা ☞বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম/এন ইসলাম(অব:প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা)
✪সম্পাদক ও প্রকাশক ☞ এমডি এস ইসলাম
☞ For Advertisements:- ads.samakalinkagoj@gmail.com.
☞ For News:- samakalinkagoj@gmail.com
✪ সম্পাদকীয় বানিজ্যিক ও প্রধান কার্যালয়:-মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১২১২
✪ আঞ্চলিক কার্যালয়:-২৪০,বি বি রোড,চাষাড়া-নারায়নগঞ্জ-১৪০০
✆ Tel No:-02-47650077, 02-2244272
✆Cell No+8801885-000126, +8801754-605090
☞web- www.samakalinkagoj.com
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪➤ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.