প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৩:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৬, ২০২৪, ৮:২১ পি.এম
লৌহজংয়ে সেতু নির্মাণে বিকল্প ব্যবস্থা না রাখায় জনদুর্ভোগ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের হাট নওপাড়া বাজার সংলগ্ন পোড়াগঙ্গা খালের উপর চলছে সেতু নির্মাণ কাজ।এই পথে লাখো মানুষের বিকল্প পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না করেই ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে এই সেতু নির্মাণে লাখো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এ পুরোনো বেইলি ব্রীজটিও ভাঙা হয়েছে।যার কারণে সেখানে সড়ক পথে যোগাযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সেখানে পায়ে হাঁটা বাঁশের সাঁকো দিয়ে দায় সেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।এখন আশপাশের এলাকার হাজারো
ব্যবসায়ী,কৃষক ও যাত্রী সাধারণকে অবর্ণনীয় সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য
সরকার সেতু বা ব্রীজ নির্মাণ করেন।সেই সেতু নির্মাণই এখন মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সড়ক পথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের নওপাড়া-কুসুমপুর সড়কের হাট নওপাড়া বাজার সংলগ্ন পোড়াগঙ্গা খালের ওপর নির্মিত হতে হচ্ছে ৪৬ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার সেতুটি।৪ কোটি ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় গত বছর এর কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নায়ে আলী কনস্ট্রাকশন।ওই বছরের নভেম্বরে কাজ শুরু করার কথা ছিল।নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের মার্চে।সরেজমিনে দেখা গেছে,স্টিলের পুরোনো বেইলি ব্রীজ ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেক আগেই।এখন পাইলিংয়ের কাজ চলছে।মাটি কেটে অল্প জায়গায় খালের পানি
প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।এখান দিয়ে নৌকা বা ট্রলার চলাচলের পরিস্থিতি নেই।মানুষের চলাচলের জন্য পাশে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।তবে এখান দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।বিকল্প সড়ক না থাকায় ভারী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বদ্ধ।এলাকাবাসী জানায়,কাজ শুরুর নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস দেরিতে চলতি মার্চ মাসে শুরু হয়েছে সেতুটির কাজ।তবে জানুয়ারি থেকেই সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ সিরাজদীখানের কুসুমপুর,
খিলগাঁও,ইছাপুরা ও শ্রীনগরের কুড়ারবাগ,পানিয়া তন্তর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি বছর আলু উত্তোলন মৌসুমে ২০ লাখ বস্তা আলু এনে রাখা হতো লৌহজংয়ের নওপাড়া কোল্ডস্টোরেজ ও উদকোল্ড স্টোরেজে।নওপাড়া-কুসুমপুর সড়ক বন্ধ থাকায় এসব এলাকার আলু পরিবহনে খরচ বেড়েছে।এতে করে দুই কোল্ড স্টোরেজে কোটি
টাকার লোকসানে পরেছে।অন্যান্য পণ্য পরিবহনেও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওপাড়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,দেশের ছোটখাটো যে কোনো সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর সময় বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়।কিন্তু এই সড়কে এত মানুষের চলাচল সত্ত্বেও কেন বিকল্প সড়ক রাখা হলো না-তা বুঝতে পারছেন না তারা।আরও বলেন,ঢাকা থেকে বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের এই সড়কটিই ব্যবহার করতে হয়।এখানে রড-সিমেন্ট,টিনসহ বিভিন্ন
ভারী পণ্যের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সেতুর উত্তর প্রান্তের মালির অংক এলাকায় পণ্য আনা-নেওয়া করতে দীর্ঘ পথ ঘুরতে
হচ্ছে।কোল্ড স্টোরেজগুলোতে নওপাড়া বাজারের উত্তর পাশের ১০-১৫টি এলাকা থেকে মৌসুমে অন্তত দুই-তিন লাখ বস্তা আলু আছে।সড়কটি বন্ধ
থাকায় চলতি মৌসুমে এসব এলাকার আলু তেমন আসেনি বলে জানান উদয়ন কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বেপারী।
নায়েব আলী কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ খানের ভাষা,এলজিইডি থেকে আমাদের যে ডিজাইন সরবরাহ করা হয়েছে,
সেখানে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা নেই।কাজ দেরিতে শুরু হওয়ার জন্য স্থানীয়দের অনুরোধ ও বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে দেরি হওয়াকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।এ নিয়ে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই।এলজিইডি লৌহজং প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন,প্রকল্প নেওয়ার সময় উপজেলা মিটিংয়ে তারা বিকল্প সড়কের প্রস্তাবনা রেখেছিলেন।তবে বিষয়টিতে আপত্তি জানান,বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান।এ কারণে বিকল্প সড়ক রাখা হয়নি।এদিকে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিকল্প সড়ক না করে ব্রীজ নির্মাণ শুরু হাওয়া তোলপাড় শুরু বিকল্প সড়ক তৈরি করে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মালেক শিকদার বলেন,টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এখানে বিকল্প ব্যবস্থা লাগবে কি লাগবে
কিনা তা তদন্ত করে দেখেছে ইঞ্জিনিয়াররা।এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।এটা সরকারি কাজ যা আমার পরিষদের অধিনে নয়।তিনি আরোও বলেন, বিকল্প সড়ক না রাখায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।এখনও যদি টেন্ডারে বিকল্প সড়কের বিষয়টি অন্তভূক্ত করা যায় তাহলেও মানুষ যাতায়াত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.