প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৮:২০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৭, ২০২৪, ৬:০৩ পি.এম
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে ক্ষতিকর ময়লা ও দাহ্য পদার্থের স্তুপে ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা
পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক ও দাহ্যজাত পদার্থসহ ময়লার দূর্গন্ধে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরছে হীরাঝিল, অসুস্থ হয়ে পরছে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশু, বৃদ্ধ..!
সিদ্ধিরগঞ্জ(না'গঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল
আবাসিক এলাকায় অন্যের জমি দখল করে ক্ষতিকর দাহ্য পদার্থ, পরিত্যক্ত ময়লা ও প্লাষ্টিক রাখার জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হীরাঝিল আবাসিক এলাকার সভাপতি হাবিবুল্লা ওরফে হবুলের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায়, ময়লার পরিত্যক্ত প্লাষ্টিকের দূর্গন্ধে এলাকায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । তীব্র গরমে ভ্যাপসা দূর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্ত প্লাষ্টিকের বর্জের স্তুপে ঘটছে অহরহ ছোট ছোট অগ্নিকান্ডের ঘটনাও। তবে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন প্লাষ্টিকের এ বর্জে বড় ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়।
নাসিক অন্তর্ভুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জের হীরঝিল এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলের ৩নং গলির সাহাবুদ্দীন চৌধুরী বাবুর জমিতে বিজ্ঞ আদালতের মামলা চলমান থাকায়,কোনো ধরনের স্থাপনা কিংবা ভবন নির্মাণ না করে খালি ফেলে রাখার সুযোগে হীরাঝিল আবাসিক এলাকার সভাপতি হাবিবুল্লা হবুল ওরফ হবুল উক্ত খালি জমি দখল করে নাসিকের বর্জ্য নিরসনকারী ঠিকাদার কর্মীদের কাছে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়।
এ ব্যাপারে জমির মালিক সাহাবুদ্দীন চৌধুরী বাবু কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি এই জায়গা কাউকে ভাড়া বা কোন কিছু রাখার অনুমতি দেইনি। বরং জমিতে বিজ্ঞ আদালতর মামলা চলমান থাকায় কোন কাজ না করে খালি রেখে দিয়েছি। তবে কে বা কারা জায়গাটি অবৈধ দখল করার জন্য এখানে প্লাষ্টিকের বর্জ্য রাখছে আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না বলে অস্বীকৃতি জানান।
গোপন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
প্রতিমাসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান নাজমুল ইসলামের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। তিনি আরও জানান, এলাকাবাসীর বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নেয়ার সময় প্লাষ্টিকের দ্রব্যাদি সহ অন্যান্য সমগ্রী তারা ভাড়াকৃত উক্তস্থানে জামিয়ে রাখেন। কয়েকমাস পর বর্জ্য পাহাড় প্রচুর পরিমাণে জমা হলে তারা তা পাইকারী ধরে বিক্রি করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায় পরিত্যাক্ত ওই প্লাষ্টিকের স্তুপে। পাশেই ২ সন্তান, স্বামী সহ বসবাস করেন জান্নাতুল। আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদ থেকে আশেপাশের মানুষকে আর্তচিৎকারে ডাকাডাকি করতে থাকেন।পরে এলাকাবাসী পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরকম ঘটনা হরহামেশাই এখানেই ঘটে থাকে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমি বাসায় শুয়েছিলাম। হঠাৎ কিছু একটা বিস্ফোরনের শব্দ শুনতে পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি পুরো ঘর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। তারপর বাড়িওয়ালা আন্টিকে জানালে তিনিসহ আমরা ছাদ থেকে পানি দিয়ে আগুন নিভাই। এ সময় আশেপাশের মানুষও আগুনের ভয়াবহতা দেখে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আবাসিক এলাকার ভিতরে এমন ময়লার পরিত্যক্ত প্লাষ্টিকের গোডাউন রাখার মানেই হয় না। এসব প্লাষ্টিক থেকে প্রচুর দূর্গন্ধ ছরিয়ে পরিবেশ দুষন করছে। এই ভয়াবহ গরমেও আমাদের জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। এছাড়া প্রায়ই এই জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটে। একবার আগুন লেগে আমাদের বাড়ির জানালার সব কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এরপর আশেপাশের মানুষের সহায়তায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের জানালে তারা কোন ব্যবস্থা নেন না। অথচ এর পাশেই আমাদের রান্নাঘর। যেকোন সময় গ্যাসের লাইনে আগুন লেগে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত স্থানে বড় বড় বস্তায় পরিত্যক্ত প্লাষ্টিকের বোতল, অ্যালকোহল, যুক্ত বডিস্প্রে ও গ্যাস লাইটার সহ ভয়ংকর সব দাহ্য পদার্থ ক্যামিকেলের বোতল গ্যালন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসকল দাহ্য জিনিস ক্যামিকেল বিস্ফোরিত এবং ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হলে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।এছাড়াও এ স্থানের তিন পাশের সব বিল্ডিংএ রান্না ঘর থাকায় যেকোন সময় এখানে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ময়লা ব্যবস্থাপনার ফোর ম্যান নাজমুল হাসানকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা খুব দ্রুত এসব ময়লা সরিয়ে দিব। এর বেশি আমরা কিছু জানিনা হবুল সাহেব জানেন। আমরা তাকে মাসে ৯৫ হাজার টাকা ভাড়া দেই।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে হাবিবুল্লা হবুল জানান, এখানে কাউকে ভাড়া দেয়া হয়নি। এখানে শুধু ময়লার গাড়ি রাখা জন্য বলেছি। প্লাষ্টিক রাখারতো প্রশ্নই আসে না বরং আশেপাশের বাড়িওয়ালারা এখানে প্লাষ্টিক ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করছে।
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.