এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকান্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পূর্ব ‘পরিকল্পিতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে..!
ডেস্ক রিপোর্ট।।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগরের নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে খুন হন বলে জানা গেছে। ১৩ মে মিডটাউনে এমপির সঙ্গে সঞ্জিভা গার্ডেন নামের ফ্ল্যাটটিতে ৩জন ঢুকেন। তারা পরবর্তীতে তিন দিনে পৃথকভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হন।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১৫ মে একজন, ১৬ মে আরেকজন এবং ১৭ মে আরেকজন ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছেন।তাদের তিনজনের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।
কলকাতা পুলিশ সূত্র জানায়, সেখানে রক্তের দাগ ও অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। তবে সেখানে কোনো লাশ খুঁজে পায়নি পুলিশ।
কলকাতা সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম সঞ্জীব রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের শুল্ক দপ্তরের একজন কর্মকর্তা। আখতারুজ্জামান নামের একজন মার্কিন নাগরিককে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন সঞ্জীব রায়। তার সঙ্গে ভিকটিম বা অভিযুক্তদের কী সম্পর্ক রয়েছে কলকাতা পুলিশ এখনও সেটি খুঁজছে।’
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট ইউনিটের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে তারা প্রথমে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে বহনকারী ক্যাবচালককে আটক করেন।
সেই ক্যাবচালক তাদের জানিয়েছেন, এমপি আজীমকে তার গাড়িতে তোলার পর আরও ৩জন তার সঙ্গে গাড়িতে ওঠেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন। পরে এই চারজন কলকাতা নিউটাউনের ওই বাড়িতে যান।
এটিএফ কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এদের মধ্যে পুরুষ দুজন বাংলাদেশে ফিরে যান। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগকে জানানো হলে, তারা দুজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেওয়া তথ্য কলকাতার পুলিশকে জানানো হয়। এরপরেই এমপি আনোয়ারুল আজীমের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয় কলকাতা পুলিশ।
এদিকে বুধবার (২২ মে) দুপুরে ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পূর্ব ‘পরিকল্পিতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে বাংলাদেশ পুলিশ আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে কলকাতা যান এমপি আজীম। এরপর পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি তিনি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি