এমপি আনার হত্যাযজ্ঞ, ফ্লোর ক্লিনার ও অ্যাসিড দিয়ে ঘটনাস্থলের রক্ত ধুয়ে মুছে ডিএনএ সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করা হয়!
বিশেষ প্রতিবেদক।।
পশ্চিমবঙ্গ কোলকাতার ভাঙড়ের এলাকার সেই খালে তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনেও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের কোন দেহাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া স্থানীয় এক জেলে জানান, এভাবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এদিকে তদন্তে আসা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান(ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, আশা করছি এমপি আনোয়ারুলের দেহ না হলেও দেহাংশ হলেও উদ্ধার করতে পারব।তবে তা না পারলে এই হত্যাকান্ডের মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না। যদিও তিনি আশাবাদী, এমপি আনারের হত্যাকান্ডের রহস্য দ্রুত সময় উন্মোচন হবেই।
তিনি আরও বলেন, মূল অভিযুক্ত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাস্টারমাইন্ড কে ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হবে। ঘটনায় মূল ধৃত আসামি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে ঢাকায় গ্রেফতার করে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, তা পশ্চিমবঙ্গে আটক কশাই জিহাদকে জেরা করে ঘটনার তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এমপি আনারের দেহাবশেষের খোঁজে গতকাল (২৬মে) রবিবার কলকাতার ভাঙড়ের খালে তৃতীয় দিনের মতো ব্যাপক তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তাগন। ডিএমজি সহ স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। দুপুরের পরে বৃষ্টির কারনে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে এইভাবে দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। গত শুক্রবার থেকে টানা ৩ দিন ধরে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। আজ সোমবার ফের তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান(ডিবি) কলকাতায় বলেন,হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। বাংলাদেশে ধরা পড়েছে ৩আসামি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মাস্টার মাইন্ড আকতারুজ্জামান শাহীন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহায়তার নেয়া হবে।এছাড়াও কলকাতায় আটককৃতদের জেরা করে যদি আরো কারোর নাম উঠে আসে, তাহলে তার খোঁজেও তল্লাশি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা দল নিউ টাউন থানায় যায়। এরপর নিউ টাউনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন, যেখানে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের এমপি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। তারপর ভাঙড়ের খালে দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান পরিদর্শন শেষে গত রাতে কলকাতার সিআইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সোমবার(২৭ মে) তারা কলকাতায় আটক কশাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
ডিবি প্রতিনিধিদলের মধ্যে অন্যরা হলেন, ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান।
এদিকে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি কলকাতার সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তা নিয়ে দিধাদন্দে রয়েছেন। তবে জানা গেছে কলকাতা নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড ক্রয় করে এবং ঘটনাস্থলের রক্ত ধুয়ে মুছে ডিএনএ সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করার প্রচেষ্টায় ব্যবহার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
✪উপদেষ্টা ☞বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম/এন ইসলাম(অব:প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা)
✪সম্পাদক ও প্রকাশক ☞ এমডি এস ইসলাম
☞ For Advertisements:- ads.samakalinkagoj@gmail.com.
☞ For News:- samakalinkagoj@gmail.com
✪ সম্পাদকীয় বানিজ্যিক ও প্রধান কার্যালয়:-মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১২১২
✪ আঞ্চলিক কার্যালয়:-২৪০,বি বি রোড,চাষাড়া-নারায়নগঞ্জ-১৪০০
✆ Tel No:-02-47650077, 02-2244272
✆Cell No+8801885-000126, +8801754-605090
☞web- www.samakalinkagoj.com
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪➤ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭