প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৫:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৯, ২০২৪, ৬:০৮ পি.এম
ঘূর্ণিঝড় রেমালই শেষ নয়, অপেক্ষা করছে অনেক.!
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা প্রতিনিধি।।
বঙ্গোপসাগর, আরবসাগর ও ভূমধ্যসাগর থেকে দৈত্যের মতো উঠে এসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা,বাংলাদেশ, ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক দুর্যোগের সৃষ্টি করেছে দীর্ঘকাল ধরে। অতীতে ঘূর্ণিঝড়ের কোন নাম ছিল না। কিন্তু পরবর্তী কালে আবহাওয়া বিভাগের প্রয়োজনে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
এর পিছনে কারণ ছিল। নাম থাকলে সঠিক ভাবে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ এব তুলনামূলক বিচারে করা সম্ভব।
অতীতে ১৯৭০ ঘূর্ণিঝড় ভোলাতে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশে। ১৯৯১ সালেও বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে সবকিছু তছনছ করে দিয়েছিল।
১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় সারা ওড়িশাকে মহা শ্মশানে পরিণত করেছিল। ঘণ্টায়২৩০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার কেন্দাপাড়াকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল।কেন্দাপাড়ার সমুদ্র তটের মৎস্যজীবীদের পুরো বস্তিটাকে লোকজন সমেত উড়িয়ে নিয়ে উধাও করে দিয়েছিল। কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে বঙ্গোপসাগর, আরবসাগর,ভূমধ্যসাগরের সংলগ্ন ৮ টি দেশের কাছে ৮ টি করে ঘূর্ণিঝড়ের নাম পাঠাতে বলেছিল। মোট ৬৪ টি নাম জমা পড়েছিল।
২০০৪ সালে "অনিল" ভারতের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছিল।কিন্তু ২০২০ সালের মধ্যে ৬৪ টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে একমাত্র বেঁচে ছিল "আমফান"। ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই আমফান আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল।
২০২০ সালে আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা শুরু হলো। সেই সময় বিপদ সংকুল সদস্য দেশগুলোর সংখ্যা বেড়ে ১৩ টি হয়েছে। সবকটি দেশ ১৩ টি করে মোট ১৬৯ টি নামের তালিকা জমা দিয়েছিল। আমপানের পর নিসর্গ, ইয়াস, গুলাব, জাওয়াদ, টাউট,গতি, নিভার, মোকা,বিপর্যয়, তেজ,হামুন, মিধিলি, মিগজাউম ও সাম্প্রতিক "রেমেল"।নতুন তালিকা থেকে ৪ বছরে ১৪ টি নাম ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেল।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে ও আরবসাগরে মনে রাখার মতো ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল আয়লা, সিডার, পাইলিন, ফনী, হুদহুদ, মহা বুলবুল, আমান, ইয়াস। এবারে নতুন করে ভয়ঙ্কর রূপ দেখালো রেমেল। ১৯৯১ সালের আগে অক্টোবর,থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় দেখা যেতো। কিন্তু পরে জলবায়ুর পরিবর্তন ঝড়ের সময়কে পাল্টে দিয়েছে। এখন বর্ষাকালের আগেও ঘূর্ণিঝড় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে আয়লা সময় পাল্টে দিয়েছিল সর্বপ্রথম। মে মাসেই হয়েছিল ঠিক রেমেলের মতোই। ২০২০ সালেও এই সময়েই আরবসাগারে উৎপত্তি নিসর্গ ঘূর্ণিঝড় ভারতের মুম্বাইতে আঘাত হেনেছিল।
আইপিসিসি ( ইন্টার গোবর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের করবে ভারত,বাংলাদেশে আচমকা বন্যা, অসহ্য তাপমাত্রা , খরা,তীব্র ঘূর্ণিঝড় ঘটতে পারে। এই দপ্তরের মতে এই রেমেল ঘূর্ণিঝড় ই শেষ নয়, আরো ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা রয়েছে সামনেই।
Editor & Publisher-MSI
Head office:-Motijheel C/A, Dhaka-1212,
Corporate office:-B.B Road ,Chasara, Narayanganj-1400, Tell-02-47650077,02-2244272 Cell:+88-01885-000124,01885-000126
web:www.samakalinkagoj.com. For news:(Online & Print)
samakalinkagojnews@gmail.com, news.samakalinkagoj@gmail.com
For advertisements:-ads.samakalinkagoj@gmail.com
For publisher & editor:-editorsamakalinkagoj@gmail.com. Cell: +8801754-605090(Editor)
☞Instagram.com/samakalinkagoj ☞ twitter.com/samakalinkagoj
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ১৮০,ফকিরাপুল পানির টাংকির গলি,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা অবস্থিত 'জননী প্রিন্টার্স' ছাপাখানা হতে মুদ্রিত, ✪ রেজি ডি/এ নং-৬৭৭৭
© All Rights Reserved ©Daily samakalin kagoj paper authority>(© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ)
Copyright © 2024 Samakalin Kagoj. All rights reserved.